বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানান, জোতরাম হাইস্কুলে ২৬৫ জন উপভোক্তাকে নিয়ে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় গ্রামের বেশ কয়েকজন তাঁকে তালিকায় নাম না ওঠার বিষয়টি জানান।

উপভোক্তাদের নিয়ে আবাস যোজনার (Awas Yojona) বৈঠক করতে গিয়েছিলেন বিডিও। সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, বেশ কিছুক্ষণ বিডিওকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। সোমবার বর্ধমান-২ ব্লকের আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন বর্ধমান-২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার। জোতরামে তাঁর গাড়ি যেতেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এলাকার বাসিন্দা নূপুর সরকার, দোলন বিশ্বাসদের অভিযোগ, তাঁরা আবাস প্রকল্পে ঘর পাওয়ার যোগ্য। অথচ স্ক্রুটিনিতে আবাস প্লাসের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে নাম। তাঁদের অভিযোগ, এমন লোকজনকে ঘর দেওয়া হয়েছে, যাঁদের মাথার উপর পাকা ছাদ রয়েছে। এরপরই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভের অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেন বিডিও। এর আগেও একাধিক জায়গায় বিডিওকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।



বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানান, জোতরাম হাইস্কুলে ২৬৫ জন উপভোক্তাকে নিয়ে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় গ্রামের বেশ কয়েকজন তাঁকে তালিকায় নাম না ওঠার বিষয়টি জানান। তিনি পাল্টা বলেন, বিডিও অফিসে গিয়ে কথা বলতে। এরপর বৈঠক করতে চলে যান তিনি। বৈঠক শেষে গাড়িতে ওঠার সময়ই গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশকে ডাকা হয়। বর্ধমান-২ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর ১ গ্রামপঞ্চায়েতের হীরাগাছি-কুলাড়ি এলাকার গ্রামবাসীরা তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। প্রায় ১৫ মিনিট আটকে ছিলেন তিনি।

নূপুর সরকার বলেন, “গ্রামে অনেকেই আবাসের ঘর পাচ্ছেন। ২০১৭ সালে আমরাও কাগজ জমা দিয়েছি। বছরের পর বছর আশা দিয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগে বাড়িতে সার্ভে করতেও গিয়েছে। আমি বাড়িতে ছিলাম। বলল আপনার নামে ঘর এসেছে। আজ বলছে আপনি ঘর পাবেন না। শুনেছি এখানে বিডিও ম্যাডাম আসছেন, তাই এসেছি। উনি আমাদের কোনও কথাই শুনতে চাননি। বলেছেন, যা বলার সোমবার বিডিও অফিসে গিয়ে বলবেন। আমরা ম্যাডামকে একটু আটকে ছিলাম। শুধু বলেছি, আমাদের কথার উত্তরটা দিয়ে যান।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours