তবে, রাজ্য সরকারের প্রশ্ন, ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হওয়া নিয়োগ ঘিরে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে এত বছর পর মামলা হল কেন?
পেঁয়াজের খোসার মতো যখন নিয়োগ দুর্নীতির একের পর এক নতুন দিক প্রকাশ্যে আসছে, তখনও সেই দুর্নীতি মামলার বিরোধিতায় মরিয়া রাজ্য। ২০১৪ সালের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এত বছর বাদে কেন মামলা হল, সেই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সব চেষ্টাই কার্যত ব্যর্থ। নিয়োগ সংক্রান্ত সেই মামলায় নাক গলাতে চাইল না শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টেই মামলা ফেরানো হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ২০২২ সালে জনস্বার্থ মামলা (PIL) হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলাতেই আপত্তি তুলেছে রাজ্য।
৪২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি মামলা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কেউ কেউ টেট পাশ না করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছে। মামলা হওয়ার পর আদালতের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত সেই মামলায় অনেক দূর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। এই প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। শতাধিক প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে, রাজ্য সরকারের প্রশ্ন, ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হওয়া নিয়োগ ঘিরে যে অভিযোগ উঠেছে, তার ভিত্তিতে এত বছর পর মামলা হল কেন? এর পিছনে উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি রাজ্যের। সেই দাবি নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যা বলার আছে তা হাইকোর্টে বলতে হবে। মামলা খারিজ করার আবেদনও জানাতে হবে হাইকোর্টেই।
উল্লেখ্য, ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত ২৫৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours