গত ৮ জানুয়ারি রাত্রিবেলা মৃত সোহিনী সূত্রধরের বাবা গজানন সূত্রধর দুবরাজপুর থানায় তাঁর মেয়ের মৃত্যুতে অভিনিবেশ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।


দুবরাজপুর: মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সোমবার তৃণমূল নেতা তথা বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুরের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অভিনিবেশ রায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার। সেই ঘটনার ২৮ ঘণ্টা পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে।



গত ৮ জানুয়ারি রাত্রিবেলা মৃত সোহিনী সূত্রধরের বাবা গজানন সূত্রধর দুবরাজপুর থানায় তাঁর মেয়ের মৃত্যুতে অভিনিবেশ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন দুবরাজপুর থানার পুলিশ হেতমপুর গ্রামে গোপন জায়গা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে।

কী ঘটেছে?

মৃতের পরিবারের দাবি, সোহিনী সূত্রধর তৃণমূলের আইটি সেলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সদস্যও ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অভিনিবেশ রায়ের সঙ্গে সোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তাঁকে অভিনিবেশ বিয়ে করতে চাইছিলেন না বলে অভিযোগ।

এরপর রবিবার দুপুরে দুবরাজপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার এলাকায় বাড়ির দোতলার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পৌঁছয় দুবরাজপুর থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। এরপর সোহিনীর বাবা দুবরাজপুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ জমা দেন অভিনিবেশ রায়ের নামে।

গজানন সূত্রধর জানান যে, দুপুরে মেয়ে দুপুরে দোতলায় নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিল। তখন তাঁর এক বন্ধু আসে। আমি তাঁকে বলি মেয়ে ঘুমোচ্ছে। কিন্তু বন্ধুটি দেখা করার জন্য বারবার জোর করতে থাকে। তখন ওর ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ পর দরজা ভেঙে ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। দুবরাজপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours