মন্দিরে ভগবানের পাশে আসন নিতে চেয়েছিলেন মহিলা। পরিণতি হল মারাত্মক।
তাঁর দাবি ছিল তিনি ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের স্ত্রী। জোর করেছিলেন মন্দিরে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মূর্তির পাশে বসার। আর এর জেরে ভয়ানক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তাঁকে বেধড়ক মারধর করে, চুল ধরে টানতে টানতে মন্দির থেকে বের করে দিচ্ছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ ডিসেম্বর, বেঙ্গালুরুর অমৃতাহাল্লি এলাকায়। এই ঘটনার বিষয়ে এদিন অমৃতাহাল্লি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারপরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে
ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতাহাল্লির লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলার সঙ্গে মন্দিরের পুরোহিতের তর্কাতর্কি হচ্ছে। এরপরই দেখা যায় পুরোহিত তাঁর চুলের মুঠি ধরে তাঁকে মন্দিরের মেঝেতে ফেলে দিচ্ছেন। মহিলা বাধা দেওয়ায় এরপর পুরোহিত তাঁর দোপাট্টা ধরে টানতে থাকেন। তাঁকে টানতে টানতে মন্দিরের দরজার দিকে নিয়ে যান। মহিলা আবার বাধা দেন। এরপর পুরোহিত ওই মহিলাকে চড়-থাপ্পর মারা শুরু করেন। মন্দিরের বাইরে আসার পরও রেহাই পাননি মহিলা। তিনি ফের মন্দিরে প্রবেশ করতে যান। পুরোহিতকে দেখা যায় একটি রড হাতে তুলে নিতে। তবে আরও এক ব্যক্তিকে দেখা যায়, ওই মহিলাকে আড়াল করতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের পাশে বসার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন। তিনি মানসিকভবে স্থিতিশীল নন। ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের পাশে তাঁর বসার বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন মন্দিরের পুরোহিত। এরপরই ওই পুরোহিতের গায়ে থুতু ছিটিয়েছিলেন মহিলা, এমনই অভিযোগ। এরপরই মন্দিরের পুরোহিত ও অন্যান্য কর্মীরা মহিলার উপর নির্যাতন শুরু করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে প্রধান অভিযুক্তের নাম মুনিকৃষ্ণ ধর্মদর্শী। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, প্রথমে তাঁরা মহিলাকে ভালভাবেই মন্দির ত্যাগ করতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি কথা না শোনায় বাধ্য হয়েই মারধর করতে হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours