স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী শশি পাঁজা, তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়।
সরব বনাম নিরুচ্চার। মুখর বনাম মূক। আক্রমণের পাল্টা সংযম। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে তাঁরই জন্মভিটেয় রাজনীতির চুম্বকে ধরা পড়ল এটাই। বৃহস্পতিবার সকালে স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। দুপুরে বিবেকানন্দের সেই ভিটেতে দাঁড়িয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, “এখানে রাজনীতি করতে আসিনি।” শুধু তাই নয়, স্বামীজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিষেক যখন বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন, তখন তাঁর অনুগামীরা চেনা ভঙ্গিতে স্লোগান দিচ্ছেন। সেই স্লোগান শোনা মাত্র বিরক্তি প্রকট হয়ে উঠল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মুখের রেখায়। তৎক্ষণাৎ হাত তুলে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, এখানে এই স্লোগান তিনি পছন্দ করছেন না। এরপর আকারে ইঙ্গিতে অভিষেক দলীয় কর্মীদের স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকার বার্তাও দেন।
কোনও মনীষীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে রাজনীতির কথা কেন আসবে, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সেদিক থেকে বৃহস্পতিবার অভিষেকের এই ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শুধু স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত রাখাই নয়, এদিন বিবেকানন্দের বাড়িতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও চাননি তিনি।
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। বিবেকানন্দের বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতেই অপেক্ষমান সাংবাদিকদের দেখে অভিষেক বলেন, “এখানে প্রেস মিট করা ঠিক হবে? এখানে তো প্রেস মিট করা ঠিক হবে না। না করাই ভাল।” এরপরই তিনি বলেন, “এখানে আমি রাজনীতি করতে আসেনি। স্বামীজীর ১৬১ তম জন্মদিবস। ভারতবর্ষের বিশেষ করে তরুণ সমাজের অগ্রদূত বীর সন্ন্যাসী, চির তারুণ্যের প্রতীক তিনি। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা। এখানে যে মহারাজরা রয়েছেন, তাঁদের আমি শ্রদ্ধা-প্রণাম জানাই। রাজনীতির কথা রাজনীতির ময়দানে হবে। আজ রাজনীতির কথা না বলাই ভাল।”
এদিকে সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বিবেকানন্দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বেরনোর সময় বলেন, “এটা কোন বাংলা? কোন সংস্কৃতি? স্বামীজী এই শিক্ষা দেখলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। এই রাজ্যের যা শিক্ষা ব্যবস্থা! গোটা শিক্ষা দফতরটাই ভিতরে! শুধু তাই নয়, এই প্রথম দেখলাম স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটায় আসার রাস্তায় স্বামীজীর ছবিগুলি এইটুকু, আর কোনও একজন নেতার বড় বড় ছবি। এ সংস্কৃতি ভাল না। ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি। ছবি তো দূরের কথা, বিবেকানন্দের নামের সঙ্গে নাম লেখার আগে আমরা ১০ বার ভাবি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours