রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রারও প্রশংসা করেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বলেন, যে যার মতো করে ভারতকে জোড়ার চেষ্টা করুক না। এর মধ্যে কোনও নেগেটিভিটি দেখছি না।


এর আগেও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল তাঁরই সমসাময়িক অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjit Chakrabarty) মুখে। আরও একবার মিঠুনের গালভরা প্রশংসা বারাসতের তৃণমূল বিধায়কের মুখে। সোমবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, মিঠুন তিনবারের জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা। তাঁর শিল্পীসত্তা নিয়ে প্রশ্নের কোনও অবকাশই নেই। আবারও জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে মিঠুনের। একইসঙ্গে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রারও প্রশংসা করেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তী দেব অভিনীত প্রজাপতি ছবি নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক দানা বাঁধে। নন্দন প্রেক্ষাগৃহে এই ছবি শো পায়নি। যা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। তৃণমূলের মুখপাত্র, মিঠুনকে ‘ফ্লপ’ বলে খোঁচা দেন। পাল্টা দেব বলেন, “কুণাল ঘোষের হয়ত সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা নেই।” এরইমধ্যে প্রজাপতি ছবির জন্য WBFJA পুরস্কার পান মিঠুন।


সোমবার এই পুরস্কারের প্রসঙ্গ তুলেই চিরঞ্জিতের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, কীভাবে মিঠুনের এই স্বীকৃতি তিনি দেখছেন। জবাবে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “খুবই ভাল খবর। যে কোনও শিল্পীর পক্ষে পুরস্কার পাওয়া খুব ভাল। বিতর্কটা একেবারেই আলাদা বিষয়। নন্দনে ছবি দেখানোর সঙ্গে এসবের কোনও সম্পর্ক নেই। সেখানে শোয়ের জন্য যা আবেদন পদ্ধতি, সেটায় কিছু ত্রুটি ছিল বা পরে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে ওটা গৃহীত হয়নি। তবে মিঠুন আমার খুব বন্ধু। ছেলেবেলা থেকে আমি ওকে চিনি। ওর বাড়িতে রাতও কাটিয়েছি আমি। সম্প্রতিও ওর ওখানে ছিলাম, উটি নিয়ে গিয়েছিল আমায়। ওসব বলে লাভ নেই। হি ইজ জাস্ট ফ্যান্টাস্টিক। ওকে জিজ্ঞাসা করলেও জানতে পারবেন, আমি একমাত্র লোক যে একবার একটা জায়গায় ঝামেলা হয়েছিল, তখন বলেছিলাম মিঠুন একমাত্র অভিনেতা যে তিনটে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। তাঁকে ডিনাই করার কোনও কারণ নেই।

চিরঞ্জিতের কথায়, মিঠুনের রাজনৈতিক পরিচয়ে সমস্যা হতেই পারে। কারণ তিনি অন্য দলের। তবে শিল্পীসত্তায় কোনও সমস্যার কথাই নেই। এর আগেও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মিঠুনের আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকেই তুলে ধরেছিলেন চিরঞ্জিত। তাঁর বক্তব্য ছিল, “তুমি আমাকে এখন গালাগাল দিচ্ছ, আর পরমুহূর্তে আমি আমার মেয়ের বিয়েতে তোমাকে ডাকব, এটা কি সম্ভব? এটা হয় না। যে ধরনের কথাবার্তা বলছে, সেটা তো আমাদের পক্ষে বলছে না। আমাদের পলিসির বিরোধিতায় বলছে। ফলে শাসকগোষ্ঠী যদি একটা ফেস্টিভ্যাল করে, তাতে তো আর এরকম হবে না, সব লোককে বলবে চলে এসো। সাম্যের পূজারি আমরা, এরকমটা তো হয় না।” তবে শিল্পীসত্তায় কোনও রাজনীতির রং লাগুক, তা চান না চিরঞ্জিতও।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours