বাড়ির অদূরেই তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।


আর পাঁচটা দিনের মতো সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দোকানে গিয়েছিলেন। দুপুরে ঘরে ফেরার কথা থাকলেও ফেরেননি, সন্ধ্যার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগও করা যায়নি। অথচ পরিবারের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দোকানেও নেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বাড়়ি থেকে দু’কিলোমিটারের মধ্যেই একটি ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার হল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের সন্দেশখালির মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুচনেখালি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তপন মণ্ডল (৫০)। বাড়ির অদূরেই তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।



পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, তপন মণ্ডল পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ধুচনেখালি বাজারে তাঁর একটি সোনার দোকান রয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বাড়ির লোকজন নিকট আত্মীয় ও পরিজনদের কাছে খোঁজাখুঁজি করার পর তাঁর খবর না পেয়ে সন্দেশখালি থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পড়িহার মোড়ের খোলা মাঠে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে সন্দেশখালি থানার পুলিশ যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে পরিকল্পনা করে মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে ফাঁকা মাঠে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে যথেষ্ট আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কী কারণে খুন? ব্যবসায়ী সংক্রান্ত বিবাদ না পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours