দুই রাজ্যের কৃষি দফতরের সচিবদের নিয়েও বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলার সুফল বাংলা, বীজ বিতরণ করা, বাংলার শস্য বিমা, কৃষক বন্ধু নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন কুমার সর্বজিত।
নবান্নে বিহারের (Bihar) কৃষিমন্ত্রী কুমার সর্বজিত। সোমবার নবান্নে এসে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছুটির দিনে তাঁর এই সফর ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নীতীশ কুমার এনডিএ ছেড়ে আরজেডি, বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বিহারের মসনদে। তারই প্রতিনিধি এদিন নবান্নে। এদিন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিহারের মন্ত্রী। জানান, কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা নিয়েও কীভাবে কৃষিতে বাংলা এতটা সফলভাবে এগিয়ে চলেছে, তা জানতেই তাঁর বঙ্গসফর। এদিন নবান্নে বসে বাংলার কৃষিব্যবস্থা ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে কুমার সর্বজিত বলেন, “মমতা মানে মা।” তাঁর কথায়, কেন্দ্র থেকে টাকা না নিয়েও কী করে কৃষিতে পশ্চিমবঙ্গ সফলভাবে এগিয়ে চলেছে সে বিষয়ে পরামর্শ নিতেই তিনি এসেছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিহারের কৃষিমন্ত্রীর কথায়, “কেন্দ্র ঠিক সময়ে ফার্টিলাইজারের টাকাও দেয় না। তারপরও পশ্চিমবঙ্গ কৃষিতে ভাল কাজ করছে। কৃষকদের জন্য নানা প্রকল্প নিয়ে এসেছে। আমি জানতে চেয়েছি কী করে কাজ করছেন। কিছু ভাল কাজ পশ্চিমবঙ্গ করছে। কিছু বিহার করছে। তাই ঠিক করা হয়েছে দুই রাজ্যই ভাল ভাল প্রকল্পগুলি নিয়ে যাতে নিজের রাজ্যে কাজ করতে পারে।”
দুই রাজ্যের কৃষি দফতরের সচিবদের নিয়েও বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বাংলার সুফল বাংলা, বীজ বিতরণ করা, বাংলার শস্য বিমা, কৃষক বন্ধু নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন কুমার সর্বজিত। শুধু বিহার নয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে গত সপ্তাহে ওড়িশা থেকেও প্রতিনিধি এসে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। বাংলার শস্যবীমা প্রকল্প কীভাবে চলে, তা নিয়ে আলোচনা করে যান। এর আগে তেলঙ্গনা থেকেও সরকারি প্রতিনিধিরা এসেছিলেন নবান্নে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours