বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইদানিং ব্রুসেলোসিস দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে। মানুষও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গরুকে ব্রুসেলা ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় কোনওভাবে মানুষের শরীরের কোথাও তা লাগলে এই রোগ ছড়াতে পারে।


গত বছরের শেষে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের শরবিন্দু ঘোষের মৃত্যুতে ব্রুসেলোসিসের যোগের কথা তুলে ধরে পরিবার। শরবিন্দু গবাদিপশু পালন করতেন। সেখান থেকেই এই রোগ হয় বলে দাবি করে পরিবার। এবার সেই ব্রুসেলোসিস নিয়ে স্বাস্থ্যদফতরকে সতর্ক হওয়ার দাবি তুলে পথে নামল পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে প্রাণিসম্পদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কাছে নিরাপত্তার দাবিতে স্মারকলিপিও জমা দেয়। যারা গরুকে ব্রুসেলোসিস রোধে ভ্যাকসিন দেন, সেইসব প্রাণিসেবী, প্রাণিমিত্র বা প্রাণিসম্পদ কর্মীদের পিপিই কিট, গ্লাভস-সহ বিভিন্ন সুরক্ষাসংক্রান্ত সামগ্রী দেওয়া হোক বলে দাবি করেন স্মারকলিপি প্রদানকারীরা। ব্রুসেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থেকেই ব্রুসেলোসিস ছড়ায়। এই রোগে মূলত আক্রান্ত হয় গবাদি পশু। সংক্রমিত পশুর দুধ না ফুটিয়ে খেলে কিংবা তাদের মাংসে হাত দিলে বা পশুপালনের সময় মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। ব্রুসেলোসিসের প্রাথমিক উপসর্গ করোনার মতোই। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, দুর্বলতা, পেশিতে ব্যথা, শিরদাঁড়ায় ব্যাথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রথমে রোগ নির্ণয় না হলে পরে ক্রমশ অঙ্গ বিকল হতে থাকে। তার জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।



বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইদানিং ব্রুসেলোসিস দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে। মানুষও আক্রান্ত হচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গরুকে ব্রুসেলা ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় কোনওভাবে মানুষের শরীরের কোথাও তা লাগলে এই রোগ ছড়াতে পারে। সেভাবেই বহু প্রাণিমিত্র, প্রাণিসেবী আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগও করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পিপিই কিট, গ্লাভস ছাড়া এই ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে কারও কারও মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। সরকারি দফতর এ নিয়ে ব্যবস্থা না নিলে ভ্যাকসিন বয়কট করবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রাণিসম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজ এখানে প্রাণিসেবী, প্রাণিবন্ধু, প্রাণিমিত্ররা এসেছি। আমরা স্মারকলিপি দিয়ে গেলাম। কারণ ব্রুসেলোসিস সংক্রমণ বাড়ছে। গরু থেকে মানুষের শরীরে ছড়াচ্ছে। আমরা তিনটি দফায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। প্রথম দফায় ১২৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁরা এখনও কেউ সুস্থ হননি। দ্বিতীয়বার ৩৭ জন হয়েছেন, তৃতীয়ার ১৪ জন হয়েছেন। আর আমরা জীবনের ঝুঁকি নিতে রাজি নই।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours