টাকা তুলতে সাহায্য করার নাম করে এটিএম কার্ড বদলে নিতেন তিনি বলে অভিযোগ। পিন নম্বর জেনে নিয়েও টাকা তুলে নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


কালো রঙের পেল্লাই গাড়ির সামনে প্রেস লেখা স্টিকার। সেই গাড়ির ভিতরে বসেই চলত ছক কষা। যেদিন হিসাব মিলে যেত, সেদিন আর পায় কে! বড় টাকা রোজগার। লোকের চোখে ধুলো দিয়ে এটিএম জালিয়াতির (ATM Fraud) অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সুব্রত গিরি নামে এক যুবককে। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের ছেলে হলেও উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা থানা এলাকায় থাকেন তিনি। সুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিলাসবহুল গাড়িতে প্রেসের স্টিকার লাগিয়ে এটিএম জালিয়াতি করতেন তিনি। এটিএম কাউন্টারে ঢুকে সাহায্য করার নামে বদলে নিতেন কার্ড। বদলে ফেলতেন পিন নম্বরও। এভাবেই তিনি টাকা হাতাতেন বলে অভিযোগ। ধৃতের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১৮৯টি এটিম কার্ড, নগদ ২৭ হাজার টাকা, তিনটি সোয়াইপ মেশিন, দু’টি আইফোন-সহ আরও একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রেসের স্টিকার লাগানো গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সোমবার এ নিয়ে দাদপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি নিমাই চৌধুরী।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর বেলা ২টো নাগাদ দাদপুর থানার হারিট বাজার এলাকায় এক যুবককে সন্দেহভাজনভাবে এটিএম কাউন্টারে ঢুকতে দেখা যায়। দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারের সামনে ওই যুবক বিলাসবহুল গাড়ি দাঁড় করিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বারবার এটিএম কাউন্টারে প্রবেশ করছিলেন তিনি। এক সিভিক ভলান্টিয়ারের নজরে বিষয়টি পড়তেই দাদপুর থানায় খবর দেন তিনি। যদিও সে সময় পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক।

পুলিশের কথায়, প্রায় চার কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে পুঁইনান বাজারের কাছে গিয়ে গাড়িটি ধরে ফেলে পুলিশ। সেখানেই ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় অসংলগ্ন কথা বলায় গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই পাওয়া যায় ৩৯টি এটিএম কার্ড ও দু’টি প্রেস কার্ড। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে কোর্টে তোলে পুলিশ। ওই যুবকই সুব্রত গিরি। সুব্রতকে হেফাজতে পাওয়ার পরই জেরায় একের পর এক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসে।


টাকা তুলতে সাহায্য করার নাম করে এটিএম কার্ড বদলে নিতেন তিনি বলে অভিযোগ। পিন নম্বর জেনে নিয়েও টাকা তুলে নিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে গাড়িতে লাগাতেন প্রেসের স্টিকার। পুঁইনানের এক বাসিন্দা ইয়াসিন মণ্ডল গত সেপ্টেম্বর মাসে এভাবেই প্রতারণার শিকার হন। এরপরই তিনি থানায় অভিযোগ জানান। সেই থেকে বিষয়টি নজরে রাখছিল পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours