অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া দিতে না পারায় মায়ের দেহ কাঁধে তুলে শ্মশানের পথে হাঁটা দিয়েছিলেন দিনমজুর ছেলে। সেই ঘটনা ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

একদিকে যখন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাসের গ্রেফতারি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে, তখন প্রকাশ্যে এল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট। জলপাইগুড়ির শবদেহ-কাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। বুধবার রিপোর্ট পেশ করেছে সেই কমিটি। সেখানে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ রয়েছে তিন নিরাপত্তারক্ষীর নাম। সরকারি হাসপাতালের ওই তিন রক্ষীর বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়, সেই সুপারিশ করা হয় কমিটির তরফে। অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় মায়ের শহদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল জলপাইগুড়ির এক যুবককে। সেই ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। কোনও শববাহী গাড়ি ছাড়া কীভাবে হাসপাতাল থেকে দেহ ছেড়ে দেওয়া হল? সেই প্রশ্নও উঠেছে।



গত শুক্রবার গঠন করা হয়েছিল ওই পাঁচ সদস্যের এই কমিটি। সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কমিটিকে। সেই মতো রিপোর্ট পেশ করা হল বুধবার। যে তিনজনের নাম রয়েছে তাঁরা ঘটনার সময় জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে দায়িত্বরত ছিলেন। তাঁদের সামনে দিয়েই ওই শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

উল্লেখ্য, হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন ফিরহাদ।

তবে মঙ্গলবার এই ঘটনায় যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই অঙ্কুরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই স্বাস্থ্য দফতরের। হাসপাতালের বাইরে কী ঘটেছে, তাতে নাক গলাচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর। যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই শবদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেছিল, সেই সংস্থার কর্ণধার অঙ্কুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours