মানিকের স্ত্রী, ছেলের নাম আছে চার্জশিটে। কোর্ট তাঁদের সমন পাঠায়। সেই মতোই শনিবার কোর্টে হাজির হন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী, ছেলের। ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁদের। শনিবার পিএমএলএ আদালতে হাজিরা দিলেন মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য ও মানিক-ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত তাপস মণ্ডল। এদিন জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। পাল্টা জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, তারা তদন্তে জানতে পেরেছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছে এবং সেই অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে মানিকের স্ত্রী ও ছেলের অ্যাকাউন্টেও টাকা গিয়েছে। তাই তাঁদের কোনওভাবেই জামিন দেওয়া চলবে না বলে দাবি করে ইডি। পাশাপাশি তাপস মণ্ডলের ক্ষেত্রে ইডির যুক্তি, তিনি প্রার্থী জোগাড়ের কাজ করতেন। তাপস না থাকলে এই ধরনের একটা দুর্নীতি সহজ হতো না। তাই তাপসকেও জামিন দেওয়া যাবে না। ইডির আবেদনের শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।
মানিকের স্ত্রী, ছেলের নাম আছে চার্জশিটে। কোর্ট তাঁদের সমন পাঠায়। সেই মতোই শনিবার কোর্টে হাজির হন তাঁরা। সশরীরে আদালতে এসে জামিনের আবেদন করেন। পাল্টা জামিনের আবেদন খারিজ আর্জি জানায় ইডি। তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোরও আর্জি জানায়। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির জন্য ইডি এখনই প্রস্তুত নয় বলে কোর্টে জানায়। এরপরই আদালত ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে। একইসঙ্গে মানিকের মামলার শুনানির জন্যও ইডি প্রস্তুত নয় বলে আদালতে জানায়। ৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলারও শুনানি। ৭ তারিখ অবধি জেল হেফাজতেই থাকবেন মানিক। অন্যদিকে স্ত্রী, ছেলের আপাতত স্বস্তি। বাড়িতেই থাকবেন তাঁরা। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।
মানিকের স্ত্রী, ছেলের পাশাপাশি তাপস মণ্ডলের মামলার শুনানিও হবে ৭ তারিখই। অর্থাৎ এই তিনজনের জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন সংক্রান্ত যে মামলা, তার শুনানির সঙ্গেই হবে মানিকের মামলার শুনানিও। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘মানিকের ছেলে ও স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল। আমরা মানিকের স্ত্রী ও ছেলের জামিনের বিরোধিতা করছি।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাপস মণ্ডল না থাকলে এই দুর্নীতির টাকা সংগ্রহ করার কেউ থাকতো না। তাপস না থাকলে স্ক্যাম হত না। উনি না থাকলে ক্যান্ডিডেট জোগাড় করার কেউ থাকতেন না। মানিক একা পারতেন না।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours