মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা গুরুদাস তারাসুন্দরী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট বিপ্লব কুণ্ডু।

ক্লাস বন্ধ করে রাজ্য সম্মেলনের আয়োজন করছিলেন প্রধান শিক্ষক। প্রতিবাদ করায় স্কুলেরই এক শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতার (Trinamool Leader) অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বহরমপুরের গুরুদাস তারা সুন্দরী ইনস্টিটিউটের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আহত শিক্ষকের নাম মুক্তিপদ কোনাই। তিনি স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক (Teacher)। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের রাজ্য সম্মেলন হবে। তাঁর দাবি, সেই কারণেই এদিন স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক। তখনই প্রতিবাদ করেন তিনি। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরেই প্রায় ৮ জন যুবক আচমকা তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে। 



অভিযোগ, ওই যুবকেরা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার অনুগামী বলে পরিচয় দেয়। কথাবার্তা শুরু হতেই মারমুখী হয়ে ওঠে যুবকের দল। দরজা বন্ধ করে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে অন্য শিক্ষকদের সাহায্যে মুক্তি পান তিনি। মারধরে ঘাড়ে ও পিঠে চোট পেয়েছেন মুক্তিপদ কোনাই। এই বিষয়ে বহরমপুর থানায় ইতিমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে মুক্তিপদ কোনাই বলেন, “ডিআই-র কাছে ৪ পিরিয়ডের পর ছুটির খবর যেতেই রেগে যান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মণিরুল চৌধুরী। ফোনে আমাকে গালিগালাজ করেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট বিপ্লব কুণ্ডু। তাঁর নির্দেশেই আজ ৭-৮ জন ছেলে স্কুলে ঢুকে পড়ে। আমি তখন স্টাফ রুমে বসেছিলাম। ওরা এসে বলে হেড মাস্টারের ঘরে চলুন। আমি ওখানে যাই। যেতেই হেড মাস্টারের নির্দেশে ঘরের ছিটকানি লাগিয়ে দেওয়া হয়। কেন আমি স্কুলে ছুটি দেওয়ার কথা ডিআইকে জানিয়েছি সেটা রাগান্বিত ভঙ্গিতে জানতে চান হেড মাস্টার। তার খানিক পরেই আমাকে বেধড়ক মারধর করে ওই যুবকের দল।” 

তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পাল্টা দাবি, মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, ওই শিক্ষকই প্রথম থেকেই উস্কানিমূলক মন্তব্য করছিলেন। বারবার বারণ করার পরেও তিনি মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেননি। তবে মারধরের ঘটনা সঠিক নয়। তাঁরাও পাল্টা মুক্তিপদ কোনাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা গুরুদাস তারাসুন্দরী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট বিপ্লব কুণ্ডু। তিনি বলেন, “এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ। যখন ঘটনা ঘটে তখন আমি এলাকাতেই ছিলাম না।” এদিকে তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধেই মুক্তিপদবাবুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। উল্টে মুক্তিপদবাবুর দিকেই অভিযোগ আঙুল তুলেছেন বিপ্লব। তাঁর দাবি, স্কুলের সার্ভিস রুল মেনে চলেন না ওই শিক্ষক। এর আগেও ওই শিক্ষককে দু’বার শোকজ করা হয়েছিল। তারপরও তিনি একই কাজ করে চলেছেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours