ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে কেউ কোন অভিযোগ জানায়নি। তবে আমি খোঁজ নেব।”
পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকাশ্যে আসছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। এবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) এক অন্তঃসত্ত্বা জনপ্রতিনিধিকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। প্রসঙ্গত, এতদিন মেহেমুদ খাঁন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। দল মেহেমুদ খাঁনকে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করার পর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শুক্রবার ছিল পঞ্চায়েত সমিতির নতুন সভাপতি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তাঁদের পক্ষের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য। আর মেহেমুদ খাঁন তাঁর অনুগত ভূতনাথ মালিককে প্রার্থী করেন। এই নির্বাচনই বয়কট করেছিলেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির একজন নির্বাচিত সদস্য চৈতালী হাত।
6 প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে কেউ কোন অভিযোগ জানায়নি। তবে আমি খোঁজ নেব।” যদিও এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি তাবারক আলী মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। গোটা বিডিও অফিস চত্বর পুলিশে ছয়লাপ ছিল। আসলে ভোটাভুটিতে ভূতনাথ মালিক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ওদের মুখ পুড়েছে। তাই এইসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে ওরা মান বাঁচানোর চেষ্টা করছে।” নবনির্বাচিত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক দাবি করেন, ভোটাভুটিতে চৈতালী হাত দের পক্ষে ছিলেন মাত্র ১৪ জন সদস্য। আর তাঁকে ২২ জন্য সদস্য সমর্থন করেন। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে চৈতালি হাত সহ তাদের পক্ষের সবাই ভোটে অংশ নেয়নি। পরাজয়ের গ্নানি ঢাকতে চৈতালী হাতকে দিয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ করিয়েই ওর পক্ষের নেতারা মুখ রক্ষার কৌশল নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভূতনাথ। অন্যদিকে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours