যব তাক সুরজ চাঁদ রহেগা, পার্থ দা কা নাম রহেগা', স্লোগান মুখর কোর্ট লকাপে দাঁড়িয়ে পার্থ বললেন ‘জনগণ সঙ্গে আছে’।
গ্রেফতারির পর ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে দল। কিন্তু, তিনি এখনও আছেন দলের সঙ্গেই। জেলে ঠাঁই হলেও এখনও তাঁর মন পড়ে রয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। বৃহস্পতিবার দিনভর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে এ কথাই বলছেন রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। সহজ কথায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘নাগপাশে’ থেকেও ভাঙতে নারাজ পার্থ। অনেকদিন পর এদিন তাঁর মুখে দেখা গেল হাসির ঝিলিক। ২০২৩ সালেই তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সকালেই দলের কর্মীদের এ জন্য শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে দেখা যায় পার্থকে। একইসঙ্গে, বেহালাবাসীকে জানান নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা। কিন্তু, তিনিই রয়েছেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির কেন্দ্রবিন্দুতে, তা সিবিআই আধিকারিকরা বারেবারে তদন্তের মধ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। সে কারণেই হয়তো কোথাও গিয়ে খড়কুটোর মতো দলেক আকড়ে ধরার চেষ্টা করছেন পার্থ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে পার্থর কথাতেই ধরা পড়েছে দলের সঙ্গে থাকার মরিয়া প্রয়াস।
.
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে নতুন করে বেহালাবাসীর কথা শোনা যাওয়াতে তা নিয়েও শুরু হয়েছে তরজা। দিন কয়েক আগে আদালতে ইডি-সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন তিনি। হঠাৎ কেন তাঁর মুখে এমন প্রশ্ন? সঠিক তথ্য-প্রমাণ না দিতে পারলে বেশিদিন তাঁকে কারাবন্দি করা যাবে না! এটাই কী বলতে চাইছেন পার্থ? সেই জল্পনা ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। খানিক একই সুর তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমানের মুখেও।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর জোকা ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে জুতোর বারি খেয়েছিলেন পার্থ। এক মহিলা পার্থকে লক্ষ্য করে সেই জুতো ছুঁড়লেও ভাগ্যক্রমে তা পার্থর গায়ে লাগেনি। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। শুরু হয়েছিল জোরদার চর্চা। তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। এবার আদালত চত্বরে সেই পার্থর সামনেই উঠল পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান। সূত্রের খবর, আদালতের রায়দান শেষে জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য যখন কোর্ট লকাপ থেকে বের করা হচ্ছিল পার্থকে তখন ভিতরের অন্যান্য আসামীরা বন্দেমাতরম স্লোগান দিতে শুরু করেন। শোনা যায় ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’, ‘যব তাক সুরজ চাঁদ রহেগা, পার্থ দা কা নাম রাহেগা’ স্লোগানও। তা শুনেই পার্থর মুখে খেলে গেল হাসি। বললেন, ‘জনগণ সঙ্গে আছে। সত্য উদঘাটিত হবে’। কিন্তু, কোন সত্যের কথা বলছেন পার্থ? সত্যি কী তিনি তাহলে বড় কোনও চক্রান্তের শিকার? উঠছে প্রশ্ন। এদিকে
প্রসঙ্গত, ১০ দিনের জেল হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার ফের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। একই মামলায় ধৃত স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য এস পি সিনহা, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ আরও সাত জনকেও এ দিন আদালতে তোলা হয়। প্রত্যেকের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে পার্থর আইনজীবী সেলিম রহমানের দাবি, পার্থর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তুলেছে তদন্তকারী তার সাপক্ষে এদিনও বিশেষ কোনও প্রমাণ তাঁরা দাখিল করতে পারেননি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours