শীতের দিনে দারুণ কাজ করে আদা। আদার পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা গরম জলে আদা থেঁতো করে ফুটিয়ে খেলেও উপকার পাবেন
নভেম্বরের মাঝামাঝি বেশ জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা পড়লেও ডিসেম্বরের শুরুতেই উধাও হয়ে গিয়েছিল শীত। ভাঁজ পড়েছিল বাঙালির কপালে। তাহলে কি সত্যিই উধাও হয়ে গেল শীত? চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বদল আসতে শুরু করেছে সেই পরিস্থিতিতে। সোমবার থেকে নেমেছে পারদ। হাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বঙ্গে বইছে উত্তর-পশ্চিম হাওয়া। আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত থাকবে এই ঠাণ্ডার আমেজ। কমেছে তাপমাত্রা। শহরের আনাচ কানাচে এখন শুধুই শীতের উষ্ণতা। সেই সঙ্গে জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটখারাপের সমস্যা ঘরে ঘরে। হঠাৎ করে এই আবহাওয়ার বদলের কারণে শিশু থেকে বুড়ো সকলেই কাহিল হয়ে পড়ছেন। শীত বাড়লে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। আর তাই এই সময় জোর দিতে হবে ডায়েটে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু নিয়ম মেনেও চলতে হবে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার দিচ্ছেন তাই বিশেষ টিপস। এই টিপস মেনে চলতে পারলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে তেমনই একাধিক সংক্রমণের হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে। ঠাণ্ডা লাগা থেকে হজমের সমস্যা- এই সবকিছুর একটাই দাওয়াই হল আদা। আদার মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। আদার মধ্যে থাকে জল, প্রোটিন, লিপিড, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, চিনি, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ভিটামিন ই। আর এই সব উপকরণই ঠাণ্ডার দিনে শরীর সুস্থ রাখতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে।
এছাড়াও হজমেও ভীষণ ভাবে সাহায্য করে আদা। শীতের দিনে এমনিই খাওয়া-দাওয়া বেশি হয়। দুপুরে বেশি খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে যদি হজমের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল হল এক চিমটে শুকনো আদার গুঁড়ো। কিংবা নুন আর আদা একসঙ্গে চিবিয়েও খেতে পারেন। আদার মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে।
এছাড়াও আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ। রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। যে কারণে কাশি, গলা ব্যথা, যে কোনও রকম ইনফেকশনের হাত থেকে রেহাই পাবেন আদার গুণেই।
এক ইঞ্চি আদা ভাল করে কুচিয়ে নিয়ে জলে ফেলে ফুটিয়ে নিন। এবার তা চুমুক দিয়ে খান। কিংবা আদা আর মধু দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন গ্রিন টি। এতেও কিন্তু ভাল কাজ হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours