কারও নাম না করে কুণাল ঘোষ বললেন, "তৃণমূলের টিকিটে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা থাকলে সভামঞ্চে আসুন। এটা কি বিয়েবাড়ি নাকি আমন্ত্রণ জানাব?"
শনিবার শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সভা রয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সভা হবে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে। সভা ঘিরে যেমন রাজনীতির পারদ চড়ছে, তেমনই নজর শান্তিকুঞ্জের দিকেও। আরও স্পষ্ট করে বললে শান্তিকুঞ্জের দুই সাংসদ – শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর দিকে। ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে, কিন্তু খাতায় কলমে তাঁরা এখনও তৃণমূলের সাংসদ। শান্তিকুঞ্জের এত কাছে সভা… তাঁদের কাছে কি কোনও আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে? এই নিয়ে যখন জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে তখন এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কারও নাম না করে বললেন, “তৃণমূলের টিকিটে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা থাকলে সভামঞ্চে আসুন। এটা কি বিয়েবাড়ি নাকি আমন্ত্রণ জানাব?”
প্রভাত কুমার কলেজের এই মাঠটি কাঁথি শহরের অন্যতম বড় একটি মাঠ। কুণালে দাবি, এটাই কাঁথি শহরের সবথেকে বড় মাঠ। কিন্তু সেখানেও সকলের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া কীভাবে সম্ভব হবে, তা নিয়েই চিন্তা করছেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “কাঁথি একটি ঐতিহ্যশালী শহর। পুরনো দিনের শহর। তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ থেকে শুরু করে চারিদিকে দীর্ঘদিনের তৃণমূল পরিবার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভা নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সর্বস্তরের তৃণমূল কর্মীরা আসবেন। কাঁথি শহরে যাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত, তৃণমূল পরিবারের সদস্য, তাঁদের গায়ে যদি কৃতজ্ঞতার রক্ত থাকে, তাহলে সবাই সভার কর্মসূচিতে তাঁরাও সামিল হোন।”
কুণাল ঘোষ যদিও সেই সময় কারও নাম করেননি। এই সভার জন্য কোনও আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “এটা তো বিয়েবাড়ি নয়। কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর নেই। তৃণমূলের প্রতীকে ভোট চাওয়ার সময় লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতজোড়, আর এখন আমন্ত্রণ? তৃণমূলের সভা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভা। এখানে তৃণমূল প্রতীকে জেতা যে যেখানে আছেন, তাঁদের গায়ে যদি কৃতজ্ঞতার রক্ত থাকে, তাঁদের উচিত এই মহাযজ্ঞে সামিল হওয়া।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours