প্রশাসনের তরফে শুভেন্দু অধিকারীর সভা বাতিল করে দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তাদের অভিযোগ, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।
ফের শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা। প্রশাসনিক অনুমতি না পাওয়ার জন্যই বাতিল হয়ে গেল পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী দলনেতার প্রকাশ্য জনসভা। প্রশাসনিক অনুমতি না পাওয়ার পিছনে শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বর্ধমান-১ ব্লকের কালিগ্রাম মাঠে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা হওয়ার কথা ছিল। এই সভায় অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। কিন্তু, সভার একদিন আগে অর্থাৎ বুধবার বিকালে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, কালিগ্রাম মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর প্রকাশ্য জনসভার অনুমতি এই মুহূর্তে স্থগিত রাখা হচ্ছে। যদিও জনসভা স্থগিত করার কারণ স্পষ্ট করেনি প্রশাসন। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রশাসনের তরফে শুভেন্দু অধিকারীর সভা বাতিল করে দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তাদের অভিযোগ, শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।
পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর জনসমর্থনে শাসকদল ভয় পেয়ে যাচ্ছে। তাই প্রশাসনকে দিয়ে সভা স্থগিত করে দিচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর সভা করার জন্য কলিগ্রামে যাঁরা জমি দিতে চেয়েছিলেন, তাঁরা শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নেয়। চাপে পড়েই তাঁরা সভা করার জন্য জমি দিতে পারবে না বলে থানায় জানিয়ে আসেন। ভিটে-তেও একই ঘটনা ঘটে। তারপর মির্জাপুর-২ ব্লকে স্বস্তির পল্লি এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর জনসভার জন্য জমি দেখা হলেও শেষ পর্যন্ত প্রশাসন সভায় অনুমতি দেয়নি।” গোটা ঘটনার পিছনে শাসকদলের হাত রয়েছে অভিযোগ তুলে জেলা বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বর্ধমানে এসে সভা করলে শাসকদলের সংগঠনে ফাটল ধরতে পারে। সেজন্যই প্রশাসনকে দিয়ে সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না শাসকদল।”
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “কাকে, কোথায় সভা করার অনুমতি প্রশাসন দেবে না দেবে, সেটা প্রশাসনই ঠিক করে। তৃণমূল কংগ্রেস তার জবাব দেবে না। এখানে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা মিথ্যা। তবে আমরা জানতে পেরেছি, বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রশাসন সভা করার অনুমতি দেয়নি।” এপ্রসঙ্গে আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন জেলা তৃণমূল মুখপাত্র। কটাক্ষের সুরে তিনি আরও বলেন, “আসলে বিজেপি সভা করার জায়গা খুঁজে পায়নি। কোন মাঠে সভা করলে লোক হবে, সেটা বুঝতে পারছিল না। লোক হবে না দেখেই ওরা এসব করছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours