ক্রাইম পেট্রোল দেখে খুনের ছক কষেছে ১৯ বছরের কিশোর। তারপর ৫ বছরের শিশুকে খুন করে ৬ টুকরো জলে ভাসিয়ে দিয়েছে।
এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলাদেশ। পাঁচ বছরের শিশুকে খুন করার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ভাসিয়ে দেওয়া হল সমুদ্রে। ১০ দিন আগেই নিখোঁজ ছিল পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়াত। তারপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এক তরুণকে আটক করে। সে নিজেই এই খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ঘটনা।
৫ বছরের শিশু আয়াত। আর তাদের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকে আবিরের পরিবার। আবির আলির বয়স ১৯ বছর। বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ নভেম্বর বাড়ির কাছেই বিকেলে পড়তে যায়। কিন্তু পরে আয়াতের পরিবার জানতে পারে, সে পড়তে যায়নি। তারপরই আয়াতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে শিশুর পরিবার। তবে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজিরও পরও হদিশ মেলেনি আয়াতের। তারপর পুলিশের শরণাপন্ন হন শিশুর পরিবার। থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তাঁরা।
তারপর এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় শিশুর বাড়ির ভাড়াটে আবির আলিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আবির আলিকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আয়াতকে অপহরণ করার কথা স্বীকার করে নেয়। সে জানায় , ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে সে অপহরণ করেছিল। কিন্তু তার সিম কাজ করছিল না। তাই মুক্তিপণ চেয়ে শিশুটির পরিবারকে কল করতে পারেনি আবির। এদিকে উদ্দেশ্য সাধন হবে অথচ নিজে ধরা পড়ে যাবেন! তাই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে আবির। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে আয়াতকে খুন করে তার দেহ ৬ টুকরো করে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয় আবির। সে আরও জানিয়েছে, সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ধারাবাহিক ক্রাইম পেট্রোল দেখে এই পরিকল্পনা করেছে সে। এদিকে আবিরের পাশাপাশি এই ঘটনায় তাকে সহায়তাকারী এক দোকানদারকেও আটক করেছে পুলিশ। আয়াতের দেহ টুকরো টুকরো করার জন্য যে দোকান থেকে দা-ছুরি কিনেছিল আবির সেই দোকানদারও আবিরকে চিহ্নিত করতে পেরেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours