জাতীয় দলের আর এক ক্রিকেটার দয়ালান হেমলতা ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। পরপর উইকেট হারিয়ে রেলওয়েজ সাময়িক চাপে পড়লেও ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায়।
সিনিয়র উইমেন্স টি২০ প্রতিযোগিতায় (Bengal Women’s Cricket) ট্রফি এল না বাংলার। ফাইনালে শক্তিশালী রেলওয়েজের (Railways) কাছে হার। প্রতিপক্ষ শিবিরে জাতীয় দলের এক ঝাঁক ক্রিকেটার। অভিজ্ঞতায় অনেকটা এগিয়ে। স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে ব্যর্থ বাংলা। পুরো টুর্নামেন্টে অনবদ্য খেলেছে বাংলার (Bengal) মেয়েরা। বিশেষ করে বলতে হয় বোলিং বিভাগের কথা। ফাইনালেও বোলাররা চেষ্টা করলেন। বোর্ডে যদিও যথেষ্ট রান ছিল না। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল। বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার সেমিফাইনাল ম্যাচটি সম্পূর্ণ হয়নি। সেই কারণেও বাংলার ছন্দ পতন হয়েছে বলা যায়।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক মিতা পাল। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক মিতার (০) উইকেট হারায় বাংলা। এরপর ফেরেন তিনে নামা প্রিয়াঙ্কা বালা। প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলা। সেখান থেকে বেরনো সহজ ছিল না। পরপর উইকেট হারিয়ে বাংলার ইনিংস মন্থর হয়ে পড়ে। দশম ওভারের শেষ বলে চতুর্থ উইকেট হিসেবে আউট অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মাও। ইনিংসের মাঝ পথে বাংলার স্কোর দাঁড়ায় ৪০-৪। দীপ্তি শর্মা ২৭ বলে ২৩ রান করেন। বাংলা ইনিংসকে ভরসা দেন উইকেটকিপার ব্যাটার রিচা ঘোষ এবং ধারা গুজ্জর। দু-জনই ৩২ রান করেন। শেষ অবধি ২০ ওভারে কোনও রকমে ৭ উইকেটে ১০৬ রান করে বাংলা। বোর্ডে এটুকু রান নিয়ে লড়াই করা কঠিন। বিশেষত রেলওয়েজের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে।
রান তাড়ায় রেলওয়েজকে ভালো শুরু দেন জাতীয় দলের ওপেনার সাব্বিনেনি মেঘনা এবং উইকেটরক্ষক নুজহত পরভীন। মিতার বোলিংয়ে অনবদ্য স্টাম্পিংয়ে মেঘনাকে ফেরান রিচা ঘোষ। জাতীয় দলের আর এক ক্রিকেটার দয়ালান হেমলতা ২৩ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। পরপর উইকেট হারিয়ে রেলওয়েজ সাময়িক চাপে পড়লেও ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায়। বাংলার ফিল্ডিংও কিছুটা খারাপ হয়েছে। না হলে এই রান সঙ্গী করেও লড়াই জারি রেখেছে বাংলা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours