সম্প্রতিই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়াম ব্যবস্থা। কলোজিয়াম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, "কলোজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয় না।"
সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই ত্রুটিমুক্ত নয়। বর্তমান যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে কাজ করাই এর একমাত্র সমাধানের পথ, শুক্রবার এমনটাই বললেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। আজ, শনিবার সংবিধান দিবস। এই উপলক্ষ্য়েই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
সম্প্রতিই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলোজিয়াম ব্যবস্থা। কলোজিয়াম নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “কলোজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম সেরা বিষয়টি শেষ আলোচনার জন্য রেখে দেব। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে কোনও প্রতিষ্ঠানই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত হয় না। কিন্তু আমরা বর্তমান সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ করি। আমি সহ কলোজিয়ামের অধীনে থাকা সমস্ত বিচারকরাই গণতন্ত্রের বিশ্বস্ত সৈনিক, যারা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে। আমরা যখন অপূর্ণতা বা অসম্পূর্ণতা নিয়ে কথা বলি, তখন আমাদের কাছে সমাধানের একটাই পথ রয়েছে, তা হল বর্তমান ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই কাজ করা। বিচার ব্যবস্থায় শুধু ভাল মানুষকে নিয়োগ করা এবং তাদের মোটা অঙ্কের বেতন দিলেই কলোজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভাল মানুষের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভাল মানুষদের বিচার ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা, ভাল আইনজীবী তৈরি করেই কলোজিয়াম ব্যবস্থার সংস্কার সম্ভব নয়। টাকা বা বেতন দিয়ে বিচারকের মান নির্ণয় করা সম্ভব নয়। একজন বিচারককে আপনি যতই বেতন দেন না কেন, তা একজন সফল আইনজীবীর দিনের শেষের উপার্জনের একটা ছোট অংশ হবে। বিচারক হওয়া আসলে বিবেকের ডাক।”
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে এই দিনটি সংবিধান দিবস হিসাবে পালিত হয়।এর আগে এই দিনটি আইন দিবস হিসাবে পালিত হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours