সৌদির ফুটবলার থেকে কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা যখন জয়ের সেলিব্রেশনে মত্ত, তখন লিওর বুকে যেন আরব সাগরের মতো প্রশস্ত ঢেউ উঠছিল।
টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর, কাতার বিশ্বকাপে নীল-সাদা জার্সিধারীরা ধাক্কা খেয়েছে। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি (Lionel Messi) গোল করলেও, দলকে জেতাতে পারেননি। ২-১ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। এটাই লিও মেসির কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ (FIFA World Cup)। ফলে এ বারের বিশ্বকাপ যাত্রাটা জয় দিয়ে শুরু করতে পারলে এলএম টেনের এবং তাঁর দলের সকলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিত। কিন্তু সৌদি আরব তা আর হতে দিল কই। বরং আর্জেন্টিনার গৌরব চূর্ণ করে দিল ফিফা ব়্যাঙ্কিয়ের ৫১ নম্বরে থাকা দলটি। এশিয়া সেরাদের কাছে হারার পর কী করেছিলেন মেসি? সেই তথ্যই তুলে ধরল
লুসেইল স্টেডিয়াম মেসির কাছে যেন অভিশপ্ত এক স্টেডিয়াম। কারণ, এই স্টেডিয়ামেই সৌদি রূপকথা লেখা হয়েছে। সৌদির কাছে হেরে কাপ যাত্রা শুরু করার দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা সবটাই ফুটে উঠছিল আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের চোখে মুখে। আর লিও? বিশ্বকাপের শুরুতেই এই রকম অনাকাঙ্খিত হার। তা তিনি যেন কল্পনাও করতে পারেননি। ম্যাচের পর, মাঠের মধ্যে তাঁর হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখার ছবিটা অনেক কিছু বলে দেয়।
সৌদির ফুটবলার থেকে কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা যখন জয়ের সেলিব্রেশনে মত্ত, তখন লিওর বুকে যেন আরব সাগরের মতো প্রশস্ত ঢেউ উঠছিল। দেশকে সোনালি ট্রফি এনে দেওয়ার জন্য যে ভাবনা, পরিকল্পনা করেছিলেন লিও, তা যে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে। ফলে, সামলে উঠতে একটু সময় তো লাগবেই। সৌদি ম্যাচের পর মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর, স্নান করে লকার রুমে যান মেসি। সেখান থেকে যান মিক্সড জোনে। টেলিভিশন, রেডিও ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হন লিও। মনে তাঁর যতই ঝড় উঠুক না কেন, সেখানে লিও একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন। টুর্নামেন্টের পরের ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী কথাও শোনা যায় আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের মুখে। মেসি বলেন, “এই দলটি ইউনিয়ন এবং গোষ্ঠী শক্তির জন্য এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। সময় এসে গিয়েছে এটি দেখানোর, যে আমরা সত্যিই শক্তিশালী। হঠাৎ এইরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা নিয়ে ভেবে বসে থাকলে হবে না। সামনে যা আসছে তা নিয়ে ভাবতে হবে এবং ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours