মালদার খর্বা এইচএন (HN) হাইস্কুলের শিক্ষক মহম্মদ আজাদ আলি মর্জা। তিনি ওই স্কুলে বাংলা পড়াতেন।


নিয়োগপত্র বাতিলের চিঠি পেলেন মালদার শিক্ষক। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে এসএসসি-র (SSC) স্বীকারোক্তি মালদার (Malda) ওই শিক্ষককের মেধা তালিকায় কোনও নাম নেই। ওয়েন্টিং লিস্টে যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরকে বঞ্চিত করে এই নিয়োগ করা হয়েছে। সেই কারণে তাঁর নিয়োগপত্র বাতিল হয়েছে।

মালদার খর্বা এইচএন (HN) হাইস্কুলের শিক্ষক মহম্মদ আজাদ আলি মির্জা। তিনি ওই স্কুলে বাংলা পড়াতেন। এসএসসি-র তরফে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে তাঁর নিয়োগ বাতিলের চিঠি আসে প্রধান শিক্ষককের কাছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষককের।

নিয়োগপত্র বাতিলের চিঠি(নিজস্ব চিত্র)

২০১৯ সালে মহম্মদ আজাদ তাঁর নিয়োগপত্র হাতে পান। তারপর তিনি স্কুলে যোগদান করেন। এইচএন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা স্বীকার করেছেন যে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার আজাদ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, এসসসি-র তরফে যে চিঠি এসেছে তার মধ্যে স্পষ্টভাবে উল্লখ করা হয়েছে এই শিক্ষককের মেধা তালিকায় কোনও নামই নেই। এর পাশাপাশি, ওয়েন্টিং-এ যে সকল চাকরি প্রার্থী রয়েছেন তাঁদেরকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রের খবর, অর্ডারটির বিষয়ে আগেই অবগত হয়েছেন আজাদ। সেই কারণে তা আসার আগেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে স্কুলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর সঙ্গে টিভি৯ বাংলা যোগাযোগ করলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ঘটনার বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষক এখন আর স্কুলে আসছেন না। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ওনার নিয়োগ বাতিলের চিঠি আমরা হাতে পাই। চিঠি পাওয়ার পর অর্থাৎ মে মাসে ওনার বেতন বন্ধ করে দিই।’

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে উত্তাল বাংলা। অনেকেই নিয়ম ভেঙে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া স্কুল শিক্ষকদের বরখাস্ত করে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের নির্দেশে আগেই চাকরি হারিয়েছেন পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসির তরফে যে হলফনামা জমা করা হয়েছিল, তাতে ১৮৩ জনের ব্যতিক্রমী নিয়োগের কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, অঙ্কিতার পর এবার ২০ জনের চাকরি বাতিল করা হল।

২০ জনের চাকরি যাওয়ার বিষয়ে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “সেটি তো আদালতের হলফনামাতেই বলা আছে। পুরোটাই আদালত নির্দেশিত পথে আমরা চলছি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours