লকেটের মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "সংসদীয় কমিটি নিয়ে যা করেছে গণতন্ত্রে প্রহসন।


গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন সংসদীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিতে ঠাঁই হলেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল সাংসদদের একটি সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা রাজ্যসভায় তৃণমূল সংসদীয় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। গতকাল টুইটে ডেরেক লেখেন, “নতুন সংসদীয় কমিটি ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও কাউকে কোনও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়নি। এছাড়াও সংসদের বৃহত্তম বিরোধী দলের থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটাই নতুন ভারতের নির্মম বাস্তবতা।” তৃণমূল সাংসদদের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান না করার পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে পদ কেড়ে নেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা-অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতা, যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


ডেরেকের টুইট নিয়ে বিজেপির তরফেও পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে। হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওদের মুখে একথা মানায় না। বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও বিধানসভায় তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। মহিলা বিধায়কদের হেনস্থা করা হয়। এমনকী বিধানসভার কোনও কমিটিতে বিজেপি বিধায়কদের জায়গা দেওয়া হয়নি।” এরপরও আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের এইসব নিয়ে না ভেবে নিজেদের ঘর সামলানোর চেষ্টা করা উচিত। তাদের ঘর এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। কালীপুজো, দেওয়ালির পর ঘর আরও এলোমেলো হয়ে যাতে।” যেভাবে একের পর দুর্নীতি মামলায় শাসকদলের নেতাদের গ্রেফতার করছে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা অথবা নেতা-মন্ত্রীদের তলব করা হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে লকেটর এই মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেদের।

লকেটের মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সংসদীয় কমিটি নিয়ে যা করেছে গণতন্ত্রে প্রহসন। তৃণমূল তৃতীয় বৃহত্তম দল, তাঁকে সরিয়ে গণতন্ত্রে এটা হতে পারে না। লকেট, সুকান্তকে সরিয়ে রাজ্য সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁকে খেলার পুতুল হিসেবে সংসদীয় কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। বাংলাকে অপমান করা হয়েছে ভোটে সব জবাব পাবে।” তৃণমূলের ঘর প্রসঙ্গে লকেটের মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “কোন দিলীপ বিজেপি, কোনটা লকেট বিজেপি, কোনটা সুকান্ত বিজেপি বা কোনটা অধিকারী বিজেপি সেটাই কেউ জানে না। একজন উত্তর দিকে গেলে অন্যজন দক্ষিণে যায়। যাঁদের চাটার্ড বিমানে করে যোগদান করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারা এখন অটোতে করে ফিরে আসতে চাইছে। বিজেপি বলে কিছু নেই, থাকবেও না।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours