কোনও শর্তে জামিনের আবেদন মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya)। আদালতে জামিনের আবেদন করে সওয়াল মানিকের আইনজীবীর। আদালতে মানিকের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা ইডির।
জামিনের আবেদন মানিকের: ৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন আদালতে তোলা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে। আদালতে মানিক ভট্টাচার্যর আবেদন, “যখনই ইডি ডেকেছে, তখনই গিয়েছি। লিখিত ভাবে সব বয়ান দিয়েছি, ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়েছি। বারবার বলা হচ্ছে সহযোগিতা করিনি। যতবার ডাকা হয়েছে ইডির দফতরে গিয়েছি, কোথায় সহযোগিতা করিনি?’’ অন্যদিকে ইডির দাবি, “নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ মানিকের। মানিকের পরিবারের একাধিক সদস্যর সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট মিলেছে। মানিকের স্ত্রীর অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ। মানিকের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টগুলিতে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন টাকা।
যে কোনও সাধারণ মানুষ তাঁর পরিবারের ঢাল হন। কিন্তু, মানিক ভট্টাচার্য নিজের স্বার্থে পরিবারকে ঢাল করেছেন। স্ত্রীকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। এই দুর্নীতি অনেক প্রজন্মের ক্ষতি করে দিয়েছে। এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে তুলে এই দাবি করল ED। ED’র আইনজীবী আরও বলেন, মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে কোনও সহযোগিতা করেননি। আইন কলেজের অধ্যক্ষ হয়েও তিনি মানিক ভট্টাচার্যও দুর্নীতিতে যুক্ত। কী বার্তা দিয়েছেন সমাজে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনে দুর্নীতির বিষয়ে অনেক তথ্য মিলেছে।
ইডির দাবি, পরিবারের একাধিক সদস্যর সঙ্গে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে। যেমন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালে মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মারা গেছেন। তাঁর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর। মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলের বয়ান নিয়েছে ED। তিনি বয়ান দিয়েছেন যে, বাবার কোনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তিনি জানতেন না। ২০১৯ সালে, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ব্যাঙ্কে যে কেওয়াইসি (KYC) জমা দিয়েছিলেন, তাতে মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের মারা যাওয়ার বিষয়টি বলেননি। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর পরেও তার কেওয়াইসি (KYC) আপডেট এবং পানকার্ড ব্যবহার হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours