ঋণের টাকা কীভাবে মেটাবেন তা নিয়ে সবসময় ভাবনাচিন্তা করতেন। সে কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করছে বাড়ির লোকজন।

এক কৃষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল ধূপগুড়িতে। বাড়ির পাশে বাঁশ বাগান থেকে ওই কৃষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন বাড়ির লোকেরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়িতে। মৃতের নাম আনন্দ বিশ্বাস (৬৭)। ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের টুকলিমারি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। আনন্দের কৃষি ঋণ ছিল। ঋণের টাকা কীভাবে মেটাবেন তা নিয়ে সবসময় ভাবনাচিন্তা করতেন। সে কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করছে বাড়ির লোকজন। এই ঘটনার পরই খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে।

 মৃতের পরিবার জানিয়েছে, আনন্দ কৃষক ছিলেন। তার ৫-৬ বিঘা চাষের জমি ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ করে চাষাবাদ করছিলেন। এদিকে সেই ঋণের টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার এই ঘটনা। আনন্দের বড় ছেলে সুশীল বিশ্বাস বলেন, “বাড়ির পাশেই বাঁশ বাগান। সেখানেই দেখি ঝুলছে। বাবা ঋণ নিয়েছিল। আসলে ভাইয়ের একটা অপারেশন হয়। তার জন্য টাকা ধার করতে হয়েছিল। সেই চিন্তায় চোখের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। সবসময় এই টাকা কীভাবে মেটাবে ভাবত।”
নিহতের আরেক ছেলে বিনয় বিশ্বাস বলেন, সোমবার রাতে সকলের সঙ্গেই খাওয়াদাওয়া করেন তাঁর বাবা। কোনও অস্বাভাবিকতা তাঁরা দেখতে পাননি। খেয়েদেয়ে নিজের ঘরে চলে যান শুতে। এরপর মাঝরাতে এই ঘটনা ঘটান বলে দাবি তাঁর। বিনয়ের কথায়, “সকালে উঠে দেখি এই অবস্থা। বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে হবে বাঁশ বাগানটা। সেখানে বাবা ঝুলছিল। এমনি আমাদের সংসারে কোনও সমস্যা ছিল না। এখন ঋণের টাকা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেই এটা করল কি না বুঝতে পারছি না
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours