চন্দননগর পুরনিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অজয় ঘোষের দাবি, এসব করে পুজো কমিটি প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে চাইছে।
জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja) মানেই নানা আলোর খেলা। হৈমন্তিকার ভুবন ভোলানো রূপের পাশাপাশি চোখ ধাঁধানো আলোর বাহারিয়ানা চাক্ষুষ করতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় প্রতি বছর। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সেই পুজোয় কি না নিভিয়ে দেওয়া হল আলো! হুগলির বাগবাজার তালপুকুর ধার জগদ্ধাত্রী পুজোয় এদিন আলো নিভিয়ে কার্যত প্রতিবাদ জানান পুজো কমিটির সদস্যরা। সমস্যা না মিটলে আলো জ্বলবে না বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা। রবিবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মোমবাতির আলোয় উদ্ভাসিত হয় এই পুজো কমিটির প্রতিমার আনন।
বাগবাজার তালপুকুর ধারের পুজো এবার ৩৯তম বর্ষে পা দিল। প্রতি বছর তালপুকুরে আলোর জাদু দেখা যায়। মূলত পুকুর ধারে থাকে বাহারি আলোর ঝলকানি। বিভিন্ন মডেল মেকানিকালের খেলা চলে। যা দেখতে ভিড় জমান মানুষ। কিন্তু ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় কেন এমন ঘটনা? কীসের প্রতিবাদ?
অভিযোগ, প্রত্যেক বছর পুজোর সময় এখানকার যত গুমটি দোকান আছে সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়। মানুষের ভিড়ের কারণেই তা করা হয় বলে দাবি এলাকার লোকজনের। এবারও তালপুকুর ধারের সিংহভাগ গুমটি দোকানের মালিকই সরিয়ে নেন। কিন্তু জয়ন্ত ঘোষ নামে এক দোকানি ফার্নিচারের গুমটি সরাতে আপত্তি জানান বলে অভিযোগ।
পুজো কমিটি বারবার অনুরোধ করলেও তিনি তা শুনতে চাননি বলে অভিযোগ। এরপরই ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় তালপুকুরের পুজোর আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানায় পুজো কমিটি। প্রতিমার সামনে জ্বেলে রাখা হয় মোমবাতি। বিদ্যুতের সব আলো বন্ধ। পুজো কমিটির সদস্য পুলক অধিকারী বলেন, “আমাদের কমিটির বয়স্ক যাঁরা, তাঁরা অনুরোধ করেছিলেন তবু শোনেননি গুমটি মালিক। গুমটি এমন জায়গায় যেখান থেকে ঠাকুর দেখা যাচ্ছে না আবার পুকুরের যেসব আলো লাগানো হয়েছে সে আলোও দেখা যাচ্ছে না। আমরা ৩৯ বছর ধরে পুজো করে আসছি। প্রতি বছর আলোতে আমরা পুরস্কার পাই। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছি। সমস্যা না মিটলে আলো জ্বালানো হবে না।”
অভিযোগের খবর পেয়েই কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ তালপুকুর ধার পুজোয় গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, গুমটি মালিক এবং পুজো কমিটিকে ডেকে আলোচনা করে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা পৃথা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জগদ্ধাত্রী পুজো চন্দননগরের প্রাণের পুজো। এই পুজোর জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। তালপুকুর ধারের পুজো দেখার জন্য মুখিয়ে থাকি। সবার সহযোগিতায় পুজো এত ভাল করে হয়। আলো নিভে থাকলে মোটেও ভাল লাগবে না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours