হাঁপানির নির্দিষ্ট কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষেত্রে এই রোগ জেনেটিক হয়
আজকাল ওবেসিটির সমস্যা ঘরে ঘরে। ওবেসিটি থাকলে সঙ্গে ডায়াবেটিস আর কোলেস্টেরলের মত সমস্যা আসবেই। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে। যেখানে উঠে এসেছে এই ওবেসিটির সমস্যা থেকে হতে পারে শ্বাসকষ্ট। লেক্সিংটনের কেনটাকি কলেজ অফ মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চিকিৎসকের কথায়, ওবেসিটি থাকলেই অ্যাজমা, সাইনাসের প্রবণতা বাড়ে। বিশেষত অ্যাজমার। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, যাঁদের মধ্যে ওবেসিটির সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই শ্বাসকষ্টে ভোগার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে সব প্রাপ্তবয়স্করা হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন তাদের মধ্যে ৩৯ শতাংশেরই ওবেসিটি রয়েছে। ২৭ শতাংশের শ্বাসকষ্টের কারণ অবশ্য আলাদা। আমেরিকায় যে সব প্রাপ্তবয়স্কের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তাঁদের অধিকাংশেরই ওজন অতিরিক্ত।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পেডিয়াট্রিক্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সব বাচ্চা অতিরিক্ত ওজন, স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে তাদের মধ্যে সমস্যা সবচাইতে বেশি। ৫ লক্ষেরও বেশি শিশুর উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানেই দেখা গিয়েছে ওবেসিটিতে ভুগছে এমন মানুষদের মধ্যে অ্যাজমার ঝুঁকি অন্তত ২৬-৩৮ শতাংশ বেশি।
হাঁপানির নির্দিষ্ট কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিছুক্ষেত্রে এই রোগ জেনেটিক হয়। অর্থাৎ বংশগত। বংশে কারোর এই সমস্যা থাকলে পরবর্তীতে অন্য কারোর মধ্যেও সেই রোগ সঞ্চারিত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
এছাড়াও বাড়িতে কোনও পোষ্য থাকলে, ফুলের রেণু, ছত্রাক থেকেও হতে পারে হাঁপানির ঝুঁকি।
শীতে দূষণ বাড়ে। এছাড়াও কালীপুজো, ছট উপলক্ষ্যে প্রচুর বাজিও ফাটছে। সেখান থেকেও হতে পারে এই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। অনেকের ক্ষেত্রে সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক থেকেও সমস্যা হয়।
ব্যথার ওষুধ বা অ্যাসপিরিন জাতীয় কিছু খেলেও সেখান থেকে হতে পারে এই একই সমস্যা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। বিভিন্ন খাবার থেকেও হতে পারে এই অ্যালার্জির সমস্যা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours