বউবাজার অঞ্চলেরই বাসিন্দা তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর বাড়ির পাশেই একাধিক বাড়িত ফাটল ধরেছে।


পরিবারকে নিয়ে বউবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। আর সেখানেই বারবার ফাটল ধরার ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার সকালে ফের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। তাঁর বাড়ির বাঁদিকের একাধিক বাড়িতে আগেই ফাটল দেখা গিয়েছিল। এবার ডানিকের বাড়িগুলিতেও একই অবস্থা। এই ঘটনায় যে তিনি রীতিমতো আতঙ্কিত, সে কথাই জানালেন সংবাদমাধ্যমকে। একই সঙ্গে মেট্রো রেলের ভূমিকা নিয়ে এ দিন ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। মেট্রোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে স্থানীয় পুর প্রতিনিধি বিশ্বরূপ দে-ও। তবে দিলীপ ঘোষের দাবি, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের জন্যই এই অবস্থা।


চিন্তা বাড়ল, আপনারা কি মস্করা করছেন?: তাপস রায়
খবর শুনেই এ দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাপস রায়। তিনি বলেন, ‘আজকের পর চিন্তা বাড়ল। মেট্রোর কারও সঙ্গে দেখা হলে বলব, আপনারা কি মস্করা করছেন? প্রয়োজনে ফোন করে বলব। জানতে চাইব ওদের উদ্দেশ্যটা কি? অভিপ্রায় কি?’ তিনি জানান, পরিবারকে নিয়ে ওই অঞ্চলেই থাকেন তিনি। নিচে অফিসও রয়েছে। সেই বাড়ির বাঁদিকের বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২০১৯ সালে। এবার অন্যদিকেও একই অবস্থা। অনতিবিলম্বে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই আর্জিই জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানতে চান, এটা প্রযুক্তিগত ভুল নাকি অন্য কিছু। তাঁর কথায়, এই আতঙ্ক নিয়ে বাস করা যায় না।

আশ্বাস নয়, সবকিছু লিখিত জানাতে হবে: কাউন্সিলর
স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এ দিন মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বলেই সম্ভব। গিনিপিগের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে। ভদ্র অঞ্চল বলে লোক মুখ বুজে সব সহ্য করছে। তাঁর দাবি, একবার ভুল হতে পারে, কিন্তু কী ভাবে বারবার ভুল করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ?’ এতগুলো মানুষের এই পরিস্থিতির দায়িত্ব কে নেবে? সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

কাউন্সিলর জানান, ১০ টা বাড়িকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাঁর দাবি, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেই হবে না, লিখিত জানাতে হবে। কাউন্সিলরের অভিযোগ, আগে যারা ঘরছাড়া হয়েছিলেন, তাঁদের আজও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তাই এ দিন মেট্রো কর্তৃপক্ষের কথা মতো হোটেলে যেতেও রাজি নন বাসিন্দারা।


কী বলছেন দিলীপ ঘোষ?
রাজ্যের শাসক দলের নেতারা যখন মেট্রো কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন, তখন বিজেপি সাংসদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মেট্রোর লাইন ঘুরিয়ে দেওয়াতেই এই ঘটনা। তাঁর দাবি, মেট্রোর যা পরিকল্পনা ছিল, সেরকমভাবে কাজ হয়নি, মমতার কথা মতো লাইন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, আর তার জেরেই এই বিপত্তি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours