ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শেষ ছটা ডার্বি জিতলেও, শনিবারের ম্যাচকে আলাদা চোখেই দেখছে সবুজ-মেরুন শিবির।
যুবভারতীতে মাঠে নামার ২৪ ঘণ্টা আগে বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলেন, ‘আমি আমার দল নিয়েই ভাবছি। বিপক্ষে যেই থাকুক আমাদের জিততে হবে।সেটা ডার্বি হোক, কিংবা অন্য কোনও ম্যাচ।’ ফেরান্দোর কোচিংয়ে শেষ দুটো বড় ম্যাচেই জিতেছে মোহনবাগান। সে প্রসঙ্গে বাগান কোচ বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচ আলাদা। ডার্বির গুরুত্ব আমি জানি। আমাদের কাছে আরও একটা ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ। ইস্টবেঙ্গল দল খুব সংগঠিত। এগারো বনাম এগারোর লড়াই হবে।’
দিমিত্রি পেত্রাতোস শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। তাতে কি বাগান কোচের চিন্তা কমেছে? ফেরান্দোর উত্তর, ‘আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলি। এতে যে কেউ গোল করতে পারে। সেটা দিমিত্রি হতে পারে, লিস্টন হতে পারে কিংবা বোমাস। কে গোল করল সেটা আমার কাছে জরুরি নয়। কখনও ৫ গোলে ম্যাচ জিততে পারি। আবার কখনও এক গোলেও ম্যাচ জিততে পারি। আধুনিক ফুটবল কোনওদিন একজনের উপর নির্ভর করে হয় না। দল হিসেবে পারফর্ম করতে হয়। কঠিন বাধা আসবেই। সেটাকে অতিক্রম করাই লক্ষ্য।’
মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটালও তৈরি শনিবারের ডার্বি জিততে। মাঠে নামার আগে তিনি বললেন, ‘২০১৩ সালে প্রথম বড় ম্যাচে হেরছিলাম। শেষ ডার্বিগুলোয় জিতেছি।’ ক্লেটনের কাছে হ্যাটট্রিক দেখতে চেয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। সে প্রসঙ্গে বাগান ডিফেন্ডারের জবাব, ‘সেটা তো মাঠেই দেখা যাবে।’
সেই ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ডার্বি জেতা শুরু করেছে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। সেই ধারা এখনও ভাঙেনি। পরপর টানা ৬টা ডার্বি জিতেছে সবুজ-মেরুন। শনিবার আরও একটা বড় ম্যাচ। এ বার সাতে সাত করার হাতছানি মোহনবাগানের সামনে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শেষ ছটা ডার্বি জিতলেও, শনিবারের ম্যাচকে (ISL Derby) আলাদা চোখেই দেখছে সবুজ-মেরুন শিবির। কী বললেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো?
শনিবারের ম্যাচ দেখতে যুবভারতীতে আসছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে প্রীতমের উত্তর, ‘জানি দাদা আসছে ম্যাচ দেখতে। আগের দিন আমাদের প্র্যাকটিসেও এসেছিল। আশা করি, দাদার সামনে ভালো ফল করব আমরা।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours