শুধু সিঁদুর নিয়ে খেলাই নয়, বড়দের পায়ে প্রণাম করে, শাখা-সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানো হয়।


দশমীর তিথিতে পুজো শেষ হওয়া মানেই উমার এবার স্বামীর ঘরে যাওয়ার পালা। ফের একটা গোটা বছরের অপেক্ষা। পুজো শেষে এখন সকলেরই চোখ পরের বছরের ক্যালেন্ডারের উপর। বিজয়া দশমীর সকাল থেকেই মুখ ভার সকলের। পুজো শেষ মানেই আনন্দও শেষ। তবে ঘরের মেয়েকে বিদায় জানাতে মনখারাপ ও চোখের জলে নয়, হাসি মুখে সিঁদুর খেলা হয়। সিঁদুর খেলার আক্ষরিক অর্থ হল সিঁদুর নিয়ে খেলা। বাঙালি হিন্দু মহিলারা বিজয় দশমীর দিন, দুর্গাকে বিদায় জানানোর আগে সিঁদুর খেলেন। এই প্রথাটি একটি নির্দিষ্ট সময় ও নিয়ম মেনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এর মধ্যে দিয়ে সৌভাগ্য ও স্বামীদের দীর্ঘায়ু বয়ে আনা হবে।

তাত্‍পর্য

দুর্গাপুজো বাঙালি তথা ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উত্‍সব। বিজয়া দশমী হল বাঙালির প্রাণের পুজোর শেষ দিন। দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উত্‍সব। এই বিশেষ দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন বাঙালি অবিবাহিত মহিলারা। এই দিনে মহিলারা উমাকে বরণ করার সময় সিঁদুর নিবেদন করেন। সেই সঙ্গে একেঅপরকে সিঁদুর মাখিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। এই ঐতিহ্যময় প্রথাকেই সিঁদুর খেলা নামে পরিচিত। শুধু সিঁদুর নিয়ে খেলাই নয়, বড়দের পায়ে প্রণাম করে, শাখা-সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সিঁদুর খেলা কীভাবে শুরু হল

দুর্গাপুজোর সিঁদুর খেলার ইতিহাস প্রায় ৪৫০ বছরের পুরনো। বাঙালিরা বিজয়াদশমীতে সিঁদুর খেলার সঙ্গে সঙ্গে ধুনুচি নাচেরও প্রথা রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ধুনুচি নাচের মাধ্যমে দুর্গাকে তুষ্ট করা হয়। এতে দেবী মহিষমর্দিনী প্রসন্ন হন। সিঁদুরকে বিবাহিত মহিলাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করা হয়। স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় সিঁথিতে লাল
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours