সামান্য জ্বর-কাশিতে প্যারাসিটামল খাবেন না। জ্বর ২ দিন থাকলেই রক্ত পরীক্ষা করান
ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি। পুজোর পর আরও জোরাল হয়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দুষছেন আবহাওয়াকেই। ঠাণ্ডা গরমই সবচেয়ে বেশি কাল করছে। কখনও বৃষ্টি, কখনও রোদ। সবার সঙ্গেই যে সব সময় ছাতা থাকে এমনও নয়। রোদে ঘেমে কিংবা বৃষ্টিতে ভেজার পর এসি ঘরে ঢুকলেই ঠাণ্ডা বসে যাচ্ছে। অনেকে আবার ঘেমে নেয়ে ফ্রিজের ঠাণ্ডা জলও খাচ্ছেন। এই ভাবেই ঠাণ্ডা লাগছে। গা, হাত-পা ব্যথা, গলাখুশখুশ, গলা জ্বালা, নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া- এমন সব উপসর্গ নিয়েই কাহিল বাংলা। আর এই সব সংক্রমণই ভাইরাসঘটিত। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যাচ্ছে এই সব উপসর্গ। তবে চিকিৎসকেরা আরও একটি বিষয় নিয়েও ভয় পাচ্ছেন। তা হল সাধারণ এই জ্বর-জ্বর ভাব, গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথার মধ্যে মিশে রয়েছে ডেঙ্গির উপসর্গও। আর তাই সামান্য জ্বর-কাশিতে প্যারাসিটামল খেলে অনেক সময় সেই সব উপসর্গ চাপা পড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড বিধি শিথিল হওয়ার পর থেকে কমে গিয়েছে মাস্কের ব্যবহার। ফলে নানা রকম সংক্রমণও বাড়ছে। এই ঠাণ্ডা-গরম আবহাওয়া ভাইরাসের বৃদ্ধির জন্য আদর্শ। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তখনই তা শরীরে জাঁকিয়ে বসে এই সব রেসপিরেটরি ভাইরাস। নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা ব্যথা, কাশি, শ্বাস নিতে সমস্যা -এই নন ফ্রিবাইল রেসপিরেটরি ইলনেসের জন্য দায়ী অ্যাডিনোভাইরাস। যা শিশুদের বেশি কাবু করে। তবে জ্বর দু’দিনের বেশি থাকলেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার টেস্ট করিয়ে নিতে ভুলবেন না। আর তাই এমন সমস্যা হলে কাজে লাগান ঘরোয়া টোটকা।
একটা বাটিতে এক গ্লাস মাপে জল নিয়ে ওর মধ্যে হাফ চামচ মধু, সামান্য এলাচ গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে অর্ধেক করে ওর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। সর্দি, কফে খুব ভাল কাজ করে এই টোটকা। বিশেষত যদি গলা খুশখুশ করে।
বড় বড় করে কাটা পেঁয়াজের টুকরো, গোলমরিচ, জোয়ান পাতা আর মিছরি একসঙ্গে দিয়ে ফুটিয়ে হাফ করে নিন। এবার তা দিনের মধ্যে ডুমিক দিয়ে অন্তত ২ বার খান। এতে কাশি, গলা জ্বালা, গলা ব্যথার মতো অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
সসপ্যানে এক চামচ ঘি দিতে হবে। এবার এপৃর মধ্যে ৬ টুকরো টমেটো, ৬ কোয়া রসুন দিয়ে নেড়ে এক গ্লাস জল দিতে হবে। ফুটে আসলে গোলমরিচের গুঁড়ো, সামান্য নুন আর একটা তুলসি পাতা দিয়ে আবারও ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তা সামান্য ঠাণ্ডা করে গ্রাইন্ডারে পেস্ট করে নিন। এই টমেটো স্যুপ খেলেও অনেক রকম উপকার পাওয়া যায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours