স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়ানোর পর যখন রাজ্যে হইচই পড়ে গিয়েছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা।
নিয়োগ দুর্নীতির মাঝে নন টিচিং স্টাফ নিয়োগের সাবধানী কলেজ সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই বিকাশ ভবন থেকে রুলবুক হাতে পেতে পারে সিএসসি। আর তারপরই প্রিন্সিপাল-টিআইসিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সিএসসি। কলেজ স্তরে নন টিচিংয়ের দায়িত্ব আগে ছিল পরিচালন সমিতির হাতে। কিন্তু সেক্ষেত্রে নিয়োগে বেশ কিছু বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অর্থাৎ নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজন পোষণের অভিযোগ ওঠে। স্বচ্ছভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রের হাতেই। কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগের দায়িত্ব পেয়েছে সিএসসি। এবার রুল বুক হাতে পাওয়া মাত্রই নিয়োগপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তৎপরতা শুরু হবে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়ানোর পর যখন রাজ্যে হইচই পড়ে গিয়েছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। চিঠিতে বলা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনে চাকরির মতো কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগেও বিপুল দুর্নীতি করে প্রকৃত মেধাবী ও যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের কাছে যা প্রমাণ রয়েছে তাতে কলেজের দুর্নীতির কাছে স্কুলের দুর্নীতি অত্যন্ত সামান্য। ২০২০ সালে অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের সময় থেকেই বহুবার চিঠি, ই-মেলের মাধ্যমে আপনাকে তা জানানো হয়েছে, আপনি সবটাই অবগত আছেন।’
এর আগেও কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা সরব হয়েছেন। নন টিচিং স্টাফদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপরই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হয় সিএসসি। প্রিন্সিপাল-টিআইসিদের সঙ্গে বৈঠকে সিএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours