সূত্রের খবর, ওই কিশোর বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার এক মহিলার স্নানের ভিডিয়ো মোবাইলে রেকর্ড করে। সেই বিষয়টি দেখতে পায় মহিলার ছেলে। এরপর মহিলার ছেলে সহ এলাকার বেশ কয়েকজন ওই কিশোরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ।
প্রতিবেশী মহিলার স্নানের ভিডিয়ো মোবাইল বন্দি করেছিলেন স্থানীয় এক কিশোর। স্নান করার ভিডিও মোবাইল বন্দি করার বিষয়টি নজরে আসে প্রতিবেশী মহিলার ছেলের। পরে ওই কিশোরকে ধরে বেধড়ক মারধর করে মহিলার ছেলে সহ স্থানীয়রা। শুধুমাত্র মারধর করা নয়, মারধর করে তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। মোবাইল কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরের মা অভিযুক্তদের কাছে মোবাইল নিতে যায়। সেই সময় ওই কিশোরের মাকেও নানারকমভাবে অপমান করা হয় ও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অপমান ও লোকলজ্জার ভয়ে ওই কিশোর বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় বলে দাবি তার পরিবারের সদস্যদের। মৃতের নাম নাজমুল হোসেন (১৭)। সে স্থানীয় কলোনি হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত বলে জানা যাচ্ছে৷ বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার পুরাতন গঙ্গারামপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোর। খবর যায় পুলিশে। ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা শুক্রবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এদিকে এনিয়ে শুক্রবার গঙ্গারামপুর থানায় মোট ৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মৃত কিশোরের পরিবারের তরফে। সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছবি তুলেছে কিনা তা তাঁদের জানা নেই। তবে যেভাবে নাজমুলের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে ও তার মাকে লোক লজ্জার মুখে ফেলা হয় সে কারণেই সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। এ বিষয়ে মৃত কিশোরের আত্মীয় মোফাজ্জল সরকার বলেন, “ ও ক্লাস ইলেভেনে পড়াশোনা করছিল। শুনেছি সে এক মহিলার স্নান করার ছবি তুলেছিল। এই অভিযোগে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ ছবি তুলেছিল কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়৷ কারণ মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। একরকম বাধ্য করা হয়েছিল ওই কিশোরকে আত্মহত্যা করার জন্য। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন৷ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours