এই মেকআপে সবচেয়ে বেশি জোর দিন আই মেকআপে। চোখ ভাল করে এঁকে নিলে অন্য কোনও কিছুর আর প্রয়োজন পড়ে না
মেকআপ মানেই কিন্তু সং সাজা নয়। মেকআপ মানে নিজের খুশিতে নিজেকে সাজিয়ে তোলা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য। শরীর সুস্থ রাখতেই এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এবার এর পাশাপাশি যদি একটু সাজুগুজু করেন তাহলে কিন্তু মনও ভাল থাকবে। চোখে একটু কাজল দেওযা, ঠোঁটে লিপস্টিক, সুন্দর একটা পারফিউম, নেলপলিশ, ক্রিম- এই সব ছোট ছোট জিনিসই আমাদের মন ভাল রাখে। সৌন্দর্য কিন্তু আমাদের মনের উপরও প্রভাব ফেলে। আর তাই নিজের মতো করে নিজেকে সাজিয়ে রাখতে পারলে সব দিক থেকে ভাল। মেকআপের কোনও বয়স হয় না। যে কোনও বয়সে মেকআপ করা যায়।
কোনও বয়সে এই মেকআপ শেখা যায়। আজকাল মেকআপ নিয়ে কম চর্চা হয় না। মেকআপও তো একটা আর্ট। চোখের মেকআপ, মুখের মেকআপ যে ভাবে খুশি সাজিয়ে তোলা যায় নিজেকে। উৎসব বা বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে অধিকাংশই পছন্দ করে ট্র্যাডিশন্যাল মেকআপ। এসব দিনে খুব উগ্র সাজ মোটেই ভাল লাগে না। একা একা কী ভাবে সারবেন এই মেক আপ? রইল প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
স্মোকি আইজ জকাল খুব ট্রেন্ডিং। আর তাই আইশ্যাডো প্যালেট থেকে বেছে নিন ল্যাভেন্ডার আর ব্রাউন। এই দুই রঙের মিশেলে তৈরি হয় যে রং তাই লাগান চোখের পাতায়। এবার কাজল বা লাইনার পেন ব্যবহার করে সুন্দর করে চোখ এঁকে নিন। এভাবে সাজলে কিন্তু দেখতে লাগে বেশ। তবে এসবের আগেও জরুরি স্কিনের ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং। মুখ পরিষ্কার করে তবেই মেকআপ শুরু করুন। প্রাইমার, ফাউন্ডেশন আর কনসিলার লাগিয়ে নিন প্রথমে। এরপর সুন্দর করে ভ্রু এঁকে নিন। গালে পরুন হালকা গোলাপি ব্লাশ। ঠোঁটে পরে নিন ক্রিম-বেসড ন্যুড লিপস্টিক। ব্রাউন শিমারি আইশ্যাডো ব্যবহার করুন চোখে। সব শেষে মাস্কারা পরুন। এতে মুখ যেমন উজ্জ্বল লাগবে তেমনই মেকআপও বসবে। সব শেষে মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতেও কিন্তু ভুলবেন না। যাঁদের বেশি ঘাম হয় তাঁরা মেকআপের পর ব্যবহার করতে পারেন ভাল ব্র্যান্ডের গোলাপ জল। এতে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours