এই মেহেন্দি পরার কিন্তু বেশ কিছু সুবিধেও রয়েছে। খরচ হয় নামমাত্র। তাতেই হাত ভরে যায়
যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের আগে মেয়েরা যেমন আলতা পরেন তেমনই হাত রাঙিয়ে নেন মেহেন্দিতে। পুজো-পার্বণ, বিয়েবাড়ি, উৎসবে ঘটা করে তাই থাকে মেহেন্দি পরার চল। বাড়ির এক মহিলা অন্যজনের হাতে এঁকে দেন মেহেন্দি। আর এই মেহেন্দি পরার মাধ্যমেই উঠে আসে কত গল্প। বিয়েবাড়ির আগে থেকেই চলে মেহেন্দি তৈরির পালা। সামনেই দীপাবলি। এই দীপাবলিতেও অনেকে মেহেন্দি বানিয়ে নেন বাড়িতে। মেহেন্দি পরার জন্য শপিং মল থেকে পার্লারে থাকে লম্বা লাইন। মেহেন্দি পরার খরচাও নেহাত কম নয়। আর আগে থেকে বুক করে না রাখলে মেহেন্দি পরাও যায় না। তাই আজ রইল দারুণ টিপস। মাত্র ৫ মিনিটেই মেহেন্দি পরে নিতে পারবেন এই ভাবে। আজকাল বাজারে এসেছে ট্যাটু মেহেন্দি। এই মেহেন্দি সহজেই পরে নিতে পারবেন। লাগবে না মেহেন্দি কোনও
এই মেহেন্দি পরার কিন্তু বেশ কিছু সুবিধেও রয়েছে। খরচ হয় নামমাত্র। তাতেই হাত ভরে যায়। শুকনোর জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয় না। আর মেহেন্দি নিয়ে যেখানে খুশি ঘোরা যায়। দু হাতে মেহেন্দি লাগাতে খরচ পড়ে মাত্র ৩০০ টাকা। এই মেহেন্দি পরতে বিশেষ লোকেরও প্রয়োজন হয় না। নিজে থেকেই পরে নেওয়া যায়। ট্যাটুর মধ্যে একটা প্লাস্টিকের শিট থাকে। তা তুলে হাতে লাগিয়ে নিতে পারলেই হল। যাঁরা বাইরে একা থাকেন তাঁদের জন্য খুবই ভাল এই মেহেন্দি। দীপাবলি বা বাড়ির কোনও পুজোতে মেহেন্দি পরতে তো ইচ্ছে করেই। সেক্ষেত্রে পরে নিতে পারেন এই ভাবে।
যে ভাবে পরবেন এই মেহেন্দি
প্রথমে হাত ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
এবার যেখানে মেহেন্দি পরতে চান সেখানে স্টিকারটি বসান।
এবার এর পেছনে থাকা সাদা কাগজটি তুলে ফেলুন। এবার তা হাতে সাবধানে বসিয়ে ঘষতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যাতে কোনও অংশ মুড়ে না যায়।
কিছুক্ষণ ঘষে নিলে দেখবেন সুন্দর ছাপ আসছে।
অনেক মেহেন্দির এই পিছনের সাদা কাগজটি জল দিয়ে ঘুষে তুলে দিতে হয়। যে ভাবে ব্যবহার করার কথা বলা থাকবে সেভাবেই করুন।
লাল, কয়েরি, কালো আর সাদা রঙে পাওয়া যায় এই ট্যাটু মেহেন্দি। প্রয়োজন মতো পরে নিন।
এই মেহেন্দি পরতে যেমন ৫ মিনিট সময় লাগে তুলে ফেলতেও লাগে মাত্র ২ মিনিট
মেহেন্দির অংশে সেলোটেপ লাগিয়ে নিন। এবার তা ঘষে তুললেই কিছুটা রং উঠে আসবে।
এরপর বেবি অয়েল কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে তুলো দিয়ে ঘষে নিন।
এবার স্যানিটাইজার দিয়ে ট্যাচুর অংশটি ঘষে নিন। এতেও কিন্তু জলদি মেহেন্দি উঠে যায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours