গত ৩ বছরের তুলনায় এ বারের ইস্টবেঙ্গল কিছুটা হলেও শক্তিশালী। তাই আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকরা।


উৎসবের মরসুম প্রায় শেষ। গায়ে রোদ মাখতেও তেমন কষ্ট হচ্ছে না। এরই মধ্যে ডার্বির পারদে চড়েছে ময়দান। শনিবার আইএসএলের প্রথম বড় ম্যাচ। আইএসএলে দুই প্রধান আসার পর যুবভারতীতে এটাই প্রথম ডার্বি। শেষ ছটা বড় ম্যাচে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবারের ডার্বিতে চাকা ঘোরানোই চ্যালেঞ্জ কনস্ট্যান্টাইনের দলের কাছে। গত ৩ বছরের তুলনায় এ বারের ইস্টবেঙ্গল কিছুটা হলেও শক্তিশালী। তাই আশায় বুক বাঁধছেন সমর্থকরা।

বড় ম্যাচের আগের দিন সকালে গা ঘামালেন ক্লেটন সিলভা, লিমারা। মোহনবাগান বধের অঙ্ক সাজিয়ে রাখলেন লাল-হলুদ কোচ। ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেই ডার্বিকে ‘প্রস্তুতি’ ম্যাচের আখ্যা দিচ্ছেন কনস্ট্যান্টাইন। তাঁর কাছে আইএসএলের বড় ম্যাচই মর্যাদার এবং চ্যালেঞ্জের। বড় ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে কনস্ট্যান্টাইন বললেন, ‘ডুরান্ডের চেয়ে এখন আমার দল অনেক উন্নত হয়েছে। সেই সময় ডার্বির কয়েক দিন আগে ফুটবলারদের হাতে পেয়েছিলাম। এ রকম ম্যাচে প্রস্তুতির জন্য একটু সময় দরকার। এ বারে তা পেয়েছি। তবে মোহনবাগান খুব শক্তিশালী দল। ওদের সমীহ করতেই হবে। ডার্বি সব সময় ৫০-৫০। আমি কলকাতার প্রথম ডার্বি জিততে মুখিয়ে।’

নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে জয়ে দলের মনোবল বেড়েছে। তবে এটা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর কথায়, ‘আমি মনে করি না‌ আমরা আগের ম্যাচে দুরন্ত ফুটবল খেলেছি। তবে কেরল আর গোয়া ম্যাচের থেকে আমরা ভালো ফুটবল খেলি। ধীরে ধীরে দল উন্নতি করছে। তবে ডার্বিতে আমাদের শুধু ৬০ মিনিট বা ৭০ মিনিট ভালো ফুটবল খেললেই চলবে না। ৯০ মিনিট ভালো ফুটবল খেলতে হবে।’ একই সঙ্গে কনস্ট্যান্টাইন বললেন, ‘ডার্বি বলে কোনও চাপ নেই। এটা উপভোগ করতে চাই।’ বাগান রক্ষণ ভাঙতে ক্লেটন সিলভা, ডহার্তিদের উপরেই আস্থা ইস্টবেঙ্গল কোচের। সাংবাদিক সম্মেলনে মজা করে বললেনও, ‘ক্লেটনের কাছ থেকে ডার্বিতে তিন গোল আশা করছি।’

ডুরান্ডের ডার্বিতে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিলেন ক্লেটন সিলভা। তাও আধা ফিট ছিলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। এ বারের বড় ম্যাচে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চান ক্লেটন সিলভা। তিনি বললেন, ‘আলাদা করে চাপ নিচ্ছি না। তবে এটিকে মোহনবাগান অনেক শক্তিশালী দল। ১০ জনের ৮ জনই বলবে, মোহনবাগান জিতবে। তবে আমরা ওদের হারিয়ে চমকে দিতে চাই।’ অসুস্থতার কারণে ডার্বির আগের দিন অনুশীলনে আসেননি হিমাংশু জ্যাংরা। বিদেশিদের পাশাপাশি দেশিয় ফুটবলারদেরও তৈরি রাখলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ভিপি সুহের, সার্থক গোলুইরাও প্রস্তুত শনিবারের ডার্বিতে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours