এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অর্ডারের লেখা বদলে ফেলল আদালত। সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আদালতকে।


ধর্ষক দয়া করেছেন যে কিশোরীকে মারেননি। আদালতের নির্দেশে এমনটাই লেখা হয়েছিল। সমালোচনার জেরে সেই অর্ডার কপিতে ভাষা বদল করল আদালত। মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের তরফে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির সাজা কমিয়ে ২০ বছরের জেলের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই মামলাতেই এবার ভাষা বদল করা হল। গত ১৮ অক্টোবর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর ২৭ অক্টোবর অর্ডারে এই বদল আনা হয়েছে। বিচারপতি অভয়ঙ্কর ও বিচারপতি সত্যেন্দ্র কুমার সিং-এর ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, অসতর্কভাবে এই ভুল হয়েছিল অর্ডার কপিতে।

আগে অর্ডারে লেখা হয়েছিল, ‘ধর্ষক দয়ালু যে তিনি নাবালিকাকে প্রাণে মারেননি’। ৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে কেন দয়ালু বলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিতর্ক বাড়ার পর নতুন করে অর্ডারে লেখা হল, ‘ধর্ষক নির্যাতিতার শরীরে কোও আঘাত করেনি।’ তবে ওই নির্দেশেই ধর্ষণের ঘটনাকে পৈশাচিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০৭ সালে এক ৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ২০০৯ সালে দোষী সাব্যস্ত হন ওই ব্যক্তি। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমানোর আর্জি জানিয়েছিলেন অভিযোগকারী। তার ভিত্তিতেই ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, পৈশাচিক কাজ করেছেন অভিযুক্ত। মহিলাদের প্রতি কোনও সম্মান নেই তাঁর, তিনি চার বছরের এক শিশুর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন। তাই ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। তবে যেহেতু তিনি শিশুর শরীরে কোনও রকম আঘাত করেননি তাই, তাঁর সাজা যাবজ্জীন থেকে কমিয়ে ২০ বছর করা হবে। ২০ বছর ধরে আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours