শনিবারের এই ঘটনায় ধৃতকে রবিবার আদালতে তোলা হয়।
মদের আসরে বচসা। সেই বচসায় বন্ধুকে কোপানোর অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধেই। আক্রান্ত যুবকের নাম সাধন ব্যাপারী। অভিযোগ, পাওনা ১০০ টাকা নিয়ে এই বচসা শুরু হয়। এরপরই সঞ্জীব নামে এক যুবক গাঁজা কাটার ছুরি দিয়ে কোপ বসান তাঁর উপর। শনিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur) এই ঘটনা ঘটে। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তাঁর মায়ের নাম তুলে আজেবাজে কথা বলছিলেন সাধন। তাই তিনি ছুরি চালান।
পূর্ব যাদবপুর থানা ও নরেন্দ্রপুর থানার সীমানা এলাকায় একটি মাছের ভেড়ি আছে। অভিযোগ সেখানেই বসে মদ খাচ্ছিলেন মুকুন্দপুর এলাকার সাধন ব্যাপারী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ও বাপি নামে তিন যুবক। অভিযোগ, সাধন তাঁর বন্ধু বাপিকে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।
এদিন বাপির কাছে সাধন সেই টাকা ফেরত চান। অভিযোগ, মদের আসরে বসে ১০০ টাকা চাওয়ায় ক্ষেপে যান সঞ্জীব। এরপরই সঙ্গে থাকা একটি ছুরি নিয়ে সাধনের উপর আচমকা তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন। সাধন ব্যাপারীর গলায় ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান বাপি ও সঞ্জীব বলে অভিযোগ।
জখম সাধন ব্যাপারীকে উদ্ধার করে একটি রিকশায় পূর্ব যাদবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ কর্মীরাই তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে অকুস্থল নরেন্দ্রপুর থানার আওতাধীন। তারপর খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে শনিবার সন্ধ্যায়ই মুকুন্দপুর থেকে সঞ্জীবকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে রাতেই এমআর বাঙুর থেকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সাধন ব্যাপারীকে। রবিবার সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর মায়ের নামে গালাগালি করছিলেন সাধন। তাতেই তিনি রেগে যান। সঞ্জীব বলেন, “আমরা আলাদা জায়গায় মদ খাচ্ছিলাম, ওরা আলাদা। মদ খেয়ে গালাগালি করছিল।” সেই সময়ই গাঁজা কাটার ছুরি নিয়ে ধেয়ে যান তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours