তাঁদের বিয়ের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলেন নিন্দা। অনেকেই দাবি করেছিলেন এই সম্পর্ক বুঝি টিকবে না।


ক্যাটরিনা কাইফ বলিউডে পা রেখেছিলেন ২০০৩ সালে। সুপারফ্লপ ছবি ‘বুম’-এর মধ্যে দিয়ে। অন্যদিকে ভিকি কৌশলের কেরিয়ার শুরু ২০১২ নাগাদ। প্রথমে সহযোগী পরিচালক হিসেবে শুরু কর্মজীবন। তারও অনেক পরে ২০১৫ তে প্রথম বড় ব্রেক ‘মাসান’। সেই অর্থে ভিকি ক্যাটরিনার ‘সিনিয়র’– বয়সেও-কাজেও। ক্যাটরিনা চিনতেন না ভিকিকে। ভিকি যদিও ছিলেন তাঁর ‘ফ্যান’। ভিকিকে প্রথম কোন ছবিতে দেখে মুগ্ধ হন ক্যাট? গুরু-লঘুর যাবতীয় দ্বন্দ্ব ভুলে আপন করে নিতে শুরু করেন তাঁকে? মুখ খুললেন ক্যাটরিনা। যে সম্পর্ক নিয়ে প্রেম পর্বে একেবারেই ছিলেন চুপ, সেই সম্পর্ক নিয়েই আর রাখঢাক নেই তাঁর।

২০১৮ সাল। মুক্তি প্রায় ভিকি কৌশলের ছবি ‘মনমারজিয়া’। ওই ছবির ট্রেলারে ভিকিকে দেখেই মুগ্ধ হন ক্যাটরিনা। তাঁর কথায়, “আমার মনে আছে প্রযোজক আনন্দ এল রাই আমায় ‘মনমারজিয়া’ ছবির একটি প্রোমো দেখিয়েছিলেন। আমি দেখেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করি ‘এই ছেলেটি কে’? আমি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এত সাবলীন একজন অভিনেতা। এত নিখুঁত একজন মানুষ।” ইন্ডাস্ট্রিতে বহুদিন কাটান ক্যাটরিনা বুঝেছিলেন ভিকির মধ্যে ট্যালেন্ট রয়েছে। এরপর যে কোথা থেকে কী হয়ে গেল, তা তাঁরা নিজেরাই জানেন না। গত ডিসেম্বরেই বিয়ে করেছেন তাঁরা। সদ্য একসঙ্গে পালন করেছেন প্রথম করওয়া চৌথ। উপোস করেছিলেন ক্যাটরিনা, ভিকির মঙ্গল কামনায়। স্ত্রী না খেয়ে রয়েছেন, ভিকি কী করে না খেয়ে থাকতে পারেন? উপোস করেছিলেন তিনিও। সাড়ে ৯টা নাগাদ আকাশে চাঁদ দেখা গিয়েছিল সেদিন। খিদেতে পেট চুঁইচুঁই করছিল ক্যাটরিনার। তবু, ভালবাসার কাছে এ সবই যে নেহাতই তুচ্ছ।



প্রসঙ্গত, তাঁদের বিয়ের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলেন নিন্দা। অনেকেই দাবি করেছিলেন এই সম্পর্ক বুঝি টিকবে না। অনেকে আবার আখ্যা দিয়েছিলেন ‘পাব্লিসিটি স্টান্ট’ হিসেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দিব্যি রয়েছেন তাঁরা। আগামী দিনগুলোতেও একইও ভাবে দুজন দুজনের পাশে থেকে যেতে চান।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours