দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার মহাবারী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা খিদিরপুর এলাকার ঘটনা।
গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ গৃহবধূর পরিবারের। মৃতার নাম শম্পা সরকার(২৮)। বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর, কিন্তু সন্তান হয়নি। দীর্ঘদিন বিয়ের পরও সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে নানা রকম ভাবে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার মহাবারী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা খিদিরপুর এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই গৃহবধূ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর থানার তিলনা এলাকার শম্পা সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় বংশীহারীর কুসুম্বা খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা রঞ্জন সরকারের, যিনি পেশায় ব্যবসায়ী। প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের পর প্রথম দিকে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। তবে যত দিন যেতে থাকে ততই সংসারে অশান্তি বাড়ে। শম্পাদেবীর সন্তান না হওয়ায় দিনের পর দিন তাঁকে দোষারোপ করা হত বলে অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এমনকী মানসিক ও শারীরিক ভাবে অত্যাচার করা হত বলেও দাবি গৃহবধূর পরিবারের। অভিযোগ, বারবার চাপ দিয়ে বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আদায় করা হত।
বংশীহারী থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে প্রথমে রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর দেহ পাঠানো হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিশ।
মৃতার আত্মীয় প্রদীপ সরকার জানান, বিয়ের পর পাঁচ বছর পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। পাঁচ বছর পর সন্তান না হওয়ায় শ্বশুর বাড়ির তরফে অকথ্য অত্যাচার করা হত। এমনকি বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতেও বলা হত। টাকা এনে দিলে কিছুদিন সব ঠিক থাকত। আর টাকা আনতে না পারলে আবার অত্যাচার শুরু হত। যা সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি প্রদীপ সরকারের। তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে
অন্যদিকে বংশীহারী থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours