দেহ ময়না তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দেহটি শনাক্ত করেছেন আতিফার পরিবারের সদস্যরা।
রবিবার সন্ধ্যায় হুগলি নদীতে (Hoogly River) তলিয়ে যাওয়া দুই শিশু কন্যার মধ্য়ে একজনের দেহ উদ্ধার হল মঙ্গলবার। এদিন সকালে পাঁচ বছরের আতিফা নাজরিনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার কাছ থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। দু’দিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। এদিন সকালে দেহটি ভেসে উঠতে দেখেন তাঁরা। দেহটি উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার ফেরিঘাটে নিয়ে যায় পুলিশ।
দেহ ময়না তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দেহটি শনাক্ত করেছেন আতিফার পরিবারের সদস্যরা। তবে এখনও নিখোঁজ আতিফার সাত বছরের দিদি সিরদা পারভিন। নিখোঁজ শিশুকন্যার খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা।
ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে বলেন, “ছোট বাচ্চাটিকে পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির লোকজন এসে দেহ শনাক্তের পর দেহ ময়না তদন্তের জন্য যা যা ব্য়বস্থা সবই করা হচ্ছে। তবে তল্লাশি অভিযান আমরা জারি রেখেছি।”
গত রবিবারের ঘটনা। ডায়মন্ড হারবার থেকে ভেসেলে চেপে পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়েছিল কলকাতার এক পরিবার। বিকেল নাগাদ আবার ভেসেলে চেপে ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটে ফেরে তারা। সেই জেটিঘাটেই নামার মুখে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। দুই শিশু কন্যা এক ভেসেল থেকে অন্য ভেসেলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময়ই একজন পা পিছলে পড়ে যায়। একজনকে বাঁচাতে গিয়ে পড়ে যায় অপরজনও। জলের তোড় বেশি থাকায় মুহূর্তে তলিয়ে যায় তারা।
পরিবাররে লোকজনের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেন আশেপাশের সকলে। ছুটে আসে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সন্ধ্যায়ই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কিন্তু অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হয় উদ্ধার কাজ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours