যখন হৃৎপিণ্ড সঠিক ভাবে পাম্প করতে পারে না তখন গোড়ালি, পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়। এর মূল কারণ হল গোড়ালি, পা, উরু এবং পেটে তরল জমা হওয়া
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান বড় কারণ হল হৃদরোগ। আনুমানিক বছরে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই হৃদরোগে। বিশ্বজুড়ে ২৯ সেপ্টেম্বর দিনটি পালন করা হয় বিশ্ব হার্ট দিবস হিসেবে। ওয়ার্ল্ড হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রথম এই দিনটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যার্টাক এড়াতেই এই দিনটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হল হৃদরোগ। হৃদরোগের মধ্যে রয়েছে সিভিডি, করোনারি হার্ট ডিজিজ, সেরিব্রোভাসকুলার ডিজিজ, রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ এবং অন্যান্য সমস্যা।
মুম্বাইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ বিপিনচন্দ্র ভামরের মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এর প্রধান কারণ মানুষের মধ্যে হৃদরোগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্যের অভাব।
হার্ট ফেলিওরের লক্ষণগুলো কী কী? হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে অধিকাংশই সচেতন নন। অনেক সময়ই তা এড়িয়ে যান। হার্টের পেশী যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায়। আবার অনেক সময় জেনেটিক কারণেও হার্টের ভালভের গঠনগত ত্রুটি থেকে যায়। হার্ট ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছয় না। ফলে রোজকার কাজের উপর তার প্রভাব পড়ে।
হার্ট ফেলিওর হতে পারে যে সব লক্ষণে বুঝবেন-
১.শরীরে যদি অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত না পৌঁছয় তাহলে সেখান থেকে ক্লান্তি আসাটা খুবই স্বাভাবিক। আর তাই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে আগে থেকেই সচেতন হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২.হার্টের সমস্যা থাকলে একটু পরিশ্রমেই শরীর হাঁপিয়ে পড়ে। শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং কোনও কাজেই মনোনিবেশ করা যায় না। কাশি, শ্বাসকষ্ট কিন্তু হার্ট ফেলিওয়ের অন্যতম কারণ।
৩.যখন হৃৎপিণ্ড সঠিক ভাবে পাম্প করতে পারে না তখন গোড়ালি, পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয়। এর মূল কারণ হল গোড়ালি, পা, উরু এবং পেটে তরল জমা হওয়া। ফলে শরীরে জলের ওজন বেড়ে যায়।
৪.খিদে কমে যাওয়া, প্রায়শই বমি ভাব, খেলেই বমি হয়ে যাওয়া, হজম না হওয়া এসব হল হৃদরোগের উপসর্গ। পরিপাকতন্ত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত না গেলেই এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়াও হঠাৎ করে যদি কয়েকদিন দেখেন যে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে তাহলেও সাবধানে থাকবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours