পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পি ভি গঙ্গার ঘাটে শনিবার পাঁচ বন্ধু মদ্যপান করছিল। মৃত বিট্টু দাস ওরফে ভান্ডারী সেই দলের মধ্যেই ছিলেন।
মদ্যপানের আসরে বন্ধুদের মধ্যে বচসা। ফলশ্রুতি, এক বন্ধুকে খুন করে গঙ্গার মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাকিদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পানিহাটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিভি গঙ্গার ঘাটে। ঘটনার প্রথম দুই নেমে পুলিশ চারজন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহটি। নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সেটিকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পি ভি গঙ্গার ঘাটে শনিবার পাঁচ বন্ধু মদ্যপান করছিল। মৃত বিট্টু দাস ওরফে ভান্ডারী সেই দলের মধ্যেই ছিলেন। মদ্যপান চলাকালীন বাকি চার বন্ধুর সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। ক্রমে তা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। অভিযোগ, হঠাৎই বিট্টুর বাকি বন্ধুরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে তাকে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। দেহ লোপাটের জন্য পরে তা পুঁতে দেওয়া হয় গঙ্গার মাটির চড়ে।
এরপর রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি দেখতে পান। সঙ্গে-সঙ্গে তাঁরা খবর দেন নিকটবর্তী খড়দহ থানায়। একইসঙ্গে রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নামে পুলিশ। বিট্টুর বন্ধু তথা এই ঘটনার চার অভিযুক্ত মুস্তাক, সূর্য , লাল্লু ও নিবেদকে বেলঘড়িয়া, কামারহাটি ও আগরপাড়া অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত চপারটি। রবিবারই ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
এ দিকে, সাতসকালে গঙ্গার ঘাটে মৃতদেহ উদ্ধার এবং তারপর খুনের ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় কার্যত আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ। তবে এই ঘটনায় কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ধৃতরা তা জানতে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাদের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours