ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে লাভজনক দোকানের সঙ্গে তুলনা সুপ্রিম কোর্টের। বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি পি এস নরসিংহয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, ইএসআই আদালত এবং হাইকোর্ট বিসিসিআইকে দোকানের সঙ্গে তুলনা করে কোনও ভুল করেনি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) চালনার পদ্ধতি ব্যবসায়িক প্রকৃতির। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ইএসআই আইন অনুসারে এই সংগঠিত সংগঠনকে ‘দোকান’ বলা যেতেই পারে। বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি পি এস নরসিংহয়ের বেঞ্চ অনুযায়ী, ইএসআই আদালত এবং হাইকোর্ট বিসিসিআইকে দোকানের সঙ্গে তুলনা করে কোনও ভুল করেনি। ইএসআইয়ের নিয়মগুলি কেন্দ্রের তৈরি। এর প্রতি কোনও সংকীর্ণ শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ ইএসআই-য়ের অন্তর্গত আগামী দিনের প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মচারীদের জীবন, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়গুলির জন্য বিমা করা হয়।
বিসিসিআই বিভিন্ন অর্থনৈতির লাভজনক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তাই ইএসআই-এর আওতায় পড়ে। গত জুন মাসে এই নিয়ে রায় দিয়েছিল ইএসআই আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টে যায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। সেখানেও অবশ্য ইএসআই আদালতের রায় বহাল রাখা হয়। বম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বিসিসিআই সত্যিই একটি লাভজনক দোকান। এবার ইএসআই এবং বম্বে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি পি এস নরসিংহয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, বিসিসিআইয়ের কার্যকলাপ ব্য়াবসায়িক। বেশষে করে টিকিট বিক্রি, বিনোদন দেওয়া, সেবার বিনিময়ে অর্থ রোজগার, আইপিএল থেকে আয়-কে মাথায় রেখে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ঠিক ছিল।
গত জুন মাসে বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছিস, ১৯৪৮ সালের ধারা ১(৫) অনুযায়ী ১৯৭৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বিসিসিআই লাভজনক দোকানের অধীনে পড়ে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ. বিসিসিআই তার হলফনামায় বলতে চায় না যে তাদের মুখ্য কাজ হল ক্রিকেট এবং খেলাধুলার প্রচার করা। তাই ইএসআই আইনের অধীনে ‘দোকান’ অর্থের মধ্যে আনা উচিত নয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours