পাক গুপ্তচর সংস্থার (Pakistan SPY Agency) সঙ্গে যোগাযোগের সন্দেহে কালিম্পং (Kalimpong) থেকে ধৃত ১। ধৃতের মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপে পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে চ্যাটের হদিশ, খবর সূত্রের। পাশাপাশি মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপ কলেরও হদিশ, খবর সূত্রের। ধৃতের বিরুদ্ধে কালিম্পঙে সেনা ইউনিটের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ। ধৃতের নাম পীর মহম্মদ ওরফে সমীর দাঁ (৩৯)। টাকার বিনিময়ে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রাজ্য পুলিশের এসটিএফের। সঙ্গে ধৃতের ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কী জানা যাচ্ছে
গতকাল বিকেলে কালিম্পং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বছর ৩৯-এর পীর মহম্মদ ওরফে সমীর দাঁকে। বেশ কিছুদিন ধরেই পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বা বেঙ্গল এসটিএফ তাঁকে গ্রেফতার করে। পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের সূত্রের খোঁজ পেয়েই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কালিম্পংয়ের সেনা ছাউনি থেকে কখন কোন গাড়ি বেরোচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, সেই সমস্ত তথ্য দেওয়ারই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট (Whatsapp Chat), হোয়াটসঅ্যাপ কল (WhatsApp Call) থেকে সাধারণ ফোন কল, সবেতেই পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ঠিক কী কারণে এই সমস্ত তথ্য পাচার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ পেতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেঙ্গল এসটিএফ (Bengal STF)।
জঙ্গি সন্দেহে একাধিক গ্রেফতার
উত্তর ২৪ পরগনার শাসন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার, মুম্বইয়, উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ধৃত বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন জঙ্গি। গত ১১ সেপ্টেম্বর, সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসনাত শেখ নামে মালদার বাসিন্দা এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত যুবককে রাজ্যে নিয়ে এসে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, বছর ২৫-এর হাসনাত শেখ মালদার সুজাপুরের বাসিন্দা। এলাকারই লাল মহম্মদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে সে। পরে পড়াশুনো করে বর্ধমানের একটি মাদ্রাসায়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগার অভিজিৎ রায়ের খুনের ঘটনার সঙ্গে হাসনাতের যোগসূত্র রয়েছে। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় ওই ব্লগারকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours