চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নারকেলদাহা গ্রামে ৷ ইতিমধ্যেই ওই গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুর: বাপের বাড়িতে রান্না হচ্ছে মাংস। ফোন আসতেই সেখানে যেতে বায়না ধরে বাড়ির বউ। তবে যখন ফোন আসে সেই সময় তাঁর স্বামী বেরিয়েছেন বাজার করতে। স্বামীকে ফোন করে ওই গৃহবধূ জানান তিনি বাপের বাড়ি যেতে চান। কিন্তু, স্বামী তাঁর কথা শোনা মাত্রই জানান তিনি মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই আর বাপের বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই। স্বামীর কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন ওই মহিলা। বাড়িতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। গালিগালাজও করতে থাকেন বলে খবর। এদিকে বাড়ির বউয়ের এই রণংদেহি মূর্তি দেখে তাঁকে থামাতে যান শ্বশুর। আর তখনই ওই গৃহবধূ শ্বশুরের অন্ডকোষ ধরে হ্যাঁচকা টান মারেন বলে অভিযোগ। ছিঁড়ে বেরিয়ে যায় অন্ডকোষ(testicles)। মূহূর্তেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন শ্বশুর। যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করে দেন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নারকেলদাহা গ্রামে ৷ অভিযুক্ত গৃহবধূর বাপের বাড়ি পাশেই বাকচা গ্রামে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর চিৎকার শুনেই এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা তাঁদের বাড়িতে জড়ো হয়ে যান। যদিও তখনও একটানা চিৎকার করেই যাচ্ছেন ওই গৃহবধূ। সূত্রের খবর, এরপর ওই গৃহবধূকে একটি জায়গায় বেঁধে মারধরও করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন ওই গৃহবধূ। আহত শ্বশুরকে উদ্ধারকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
তবে বাপের বাড়ি গিয়ে গা ঢাকার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ততক্ষণে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয় ময়না থানায়। তদন্তে নামে পুলিশ। শেষে বাপের বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হয়। এ ঘটনাতে স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় ওই এলাকায়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours