মহালয়ার (mahalaya) সকালে ফিরল স্বস্তি। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি (paschim medinipur) এবং পুরুলিয়ার (purulia) কুস্তাউর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার কুড়মিদের (kurmi)। মধ্যরাতে প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের (agitator) আলোচনার পর সিদ্ধান্ত। স্বীকৃতির দাবিতে টানা ৫ দিন ধরে চলছিল রেল-সড়ক অবরোধ, বাতিল (cancel) হয় অসংখ্য ট্রেন (train)। পুজোর (durga puja) আগে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ।
কী হয়েছিল?
তফশিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গত ২০ তারিখ থেকে আন্দোলনে বসেছিল কুড়মি সমাজ। রেললাইনের পাশাপাশি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। আটকে পড়েন ট্রাকচালকরা। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। কিন্তু গত কাল রাতে প্রশাসনের তরফে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়। তার পর আজ সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ বিক্ষোভ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। স্বাভাবিক ছবি ফিরে আসে জাতীয় সড়কে। তবে বিক্ষোভ উঠে গেলেও কিছু ক্ষণ রেললাইন বন্ধ থাকে। রেল সূত্রে খবর, অল্প ক্ষণের মধ্যেই তা চালু হওয়ার কথা। কুস্তাউর স্টেশনেও এক ছবি। আজ সকালে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন বিক্ষোভকারীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে খবর।
প্রেক্ষাপট...
গত কালই কুড়মি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ উঠে যাওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। জানা যায়, ৩ জেলার ডিএমের সঙ্গে বৈঠকের পর জট কেটেছে। আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনার পর অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও খবর শোনা যায়। তবে আগামী দিনে তাঁদের দাবি না মিটলে, আবারও আন্দোলনের পথে যেতে পারেন তাঁরা, বলা হয় সে কথাও। কিন্তু পরে আবার অন্য খবর শোনা গিয়েছে। অবরোধ প্রত্যাহার নিয়ে আদিবাসী কুড়মি সমাজ দু’ভাগ হয়ে যায়। মুখ্য উপদেষ্টা অজিত মাহাতোর অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মানছি না, ঘোষণা করেন কুস্তাউর, খেমাশুলির আন্দোলনরতদের। আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন না বলে জানিয়ে দেন খেমাশুলিতে উপস্থিত কুড়মি সমাজের নেতৃত্ব। তবে রাত তিনটে নাগাদ প্রশাসনের তরফে গিয়ে কথা বলা হয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। তার পর সকাল হতেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি। যদিও গত কয়েক দিন ধরে এই বিক্ষোভের জেরে ট্রাক আটকে যাওয়ায় বহু শাকসবজি, আনাজ ইত্যাদি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে খবর। পুজোর মুখে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। এসবের ক্ষতিপূরণ হবে কী ভাবে? উত্তর জানা নেই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours