সুপারটেক লিমিটেড সংস্থার চেয়ারম্য়ান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরকে অরোরা বৃহস্পতিবার জানান যে, অ্যাপেক্স ও কেয়ান নামক ওই টুইন টাওয়ার এমারেল্ড কোর্ট প্রকল্পেরই অংশ ছিল।
১০০ মিটারের বেশি উচ্চতার টুইন টাওয়ার ভাঙতে সময় লেগেছিল মাত্র ৯ সেকেন্ড। বর্তমানে চলছে সেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে এই ধ্বংসস্তূপ সাফ করতে। কিন্তু তারপরে কী হবে? সুপারটেক লিমিটেড, যে সংস্থাটি এই টুইন টাওয়ার তৈরি করেছিল, তাদের তরফেই জানানো হল যে, ওই টুইন টাওয়ারের জায়গাতেই নতুন করে আবাসন তৈরি করা হবে। নয়ডা কর্তৃপক্ষ ও এমারেল্ড কোর্টের বাসিন্দাদের থেকে অনুমতি নেওয়ার পরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সুপারটেক লিমিটেড সংস্থার চেয়ারম্য়ান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরকে অরোরা বৃহস্পতিবার জানান যে, অ্যাপেক্স ও কেয়ান নামক ওই টুইন টাওয়ার এমারেল্ড কোর্ট প্রকল্পেরই অংশ ছিল। নয়ডার সেক্টর ৯৩ এ-তে তৈরি ওই আবাসন প্রকল্পের জন্য জমি ও অনুমতি দেওয়া হয়েছিল নয়ডা পুরসভার তরফ থেকেই। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালে যাবতীয় নিয়মাবলি মেনেই এই টুইন টাওয়ার তৈরির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়েও ওই পরিকল্পনার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে পুরো টাকাও দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ওই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং বিল্ডিংদুটি ভাঙার জন্যও ১৭.৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে।
আরকে অরোরা জানান, টুইন টাওয়ার যে জমির উপরে তৈরি হয়েছিল, সেই জমিকে পুনরায় ব্যবহার করা হবে। এমারেল্ড কোর্টের বাসিন্দা ও নয়ডা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই সেখানে নতুন আবাসন তৈরি করা হবে। শীঘ্রই এই বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা ও আলোচনা শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।
যারা ওই টুইন টাওয়ারে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাদের কী হল, এই প্রশ্নের উত্তরে নির্মাণকারী সংস্থার প্রধান জানান, অ্যাপেক্স ও কেয়ান- টুইন টাওয়ারে যারা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশকেই সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। যে ৫ শতাংশ ক্রেতারা বাকি রয়েছেন, তাদের আমরা সুদ সমেত টাকা ফেরত দিচ্ছি, নয়তো অন্যত্র জমি বা ফ্ল্যাট দিচ্ছি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours