স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ওই চার জন।
স্কুল যাওয়ার পথে চার খুদে পড়ুয়াকে গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা। এক গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীরা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে চার পড়ুয়াকে। এর পর উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালায় ওই চাকা গাড়িতে। গাড়ির চালককে ব্যাপক মারধর করেন এলাকাবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুরে বুধবার ঘটেছে ঘটনা। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ওই চার জন। বুধবার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী দিশা মাল এবং রনিতা বালা, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সুকন্যা বিশ্বাস এবং তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রীতম দে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল। মাঝ রাস্তায় একটি মারুতি গাড়ীর চালক সুজিত দাস তাদের গাড়িতে করে স্কুলে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু ওই পড়ুয়ারা গাড়িতে যেতে রাজি হয়নি। তখন ওই চালক জোর করে পড়ুয়াদের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তখনই পড়ুয়াদের চিৎকারে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি বীরভূম জেলার বলভপুরে।
রনিতা বালা নামের ছাত্রী বলেছ, “আমরা স্কুলে যাচ্ছিলাম। তখন ওই গাড়ি আমাদের দেখে দাঁড়ায়। চালক আমাদের বলে স্কুলের দিকেই গাড়ি যাবে। আমাদের যেতে বলে। আমরা যেতে চাইনি। হেঁটেই স্কুলে যাব বলেছিলাম। এর পরই আমাদের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে।”
এলাকাবাসী পড়ুয়াদের চিৎকারে ছুটে আসে। তার পর গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরে করে অভিযুক্ত চালককে। এর পর কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে চালককে। তাঁকে কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরাও গিয়েছিল থানায়। অভিভাবকদের অভিযোগ, তাঁদের বাচ্চাদের অপহরণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল ওই অভিযুক্ত। তাঁর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours